অভাব অন্যকিছুর নয়, দেশপ্রেমেরই
আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করলাম। ইতোমধ্যে আমাদের অগ্রগতির মাইলফলকে উন্নতির নানা চিহ্ন উৎকীর্ণ হয়েছে। চিহ্নগুলো অস্পষ্টও নয়। দালানকোঠা প্রচুর উঠেছে, প্রতিনিয়ত উঠছে। মোবাইল ফোনের ব্যবহার দাঁড়িয়েছে আকাশচুম্বী। ভোগ-উপভোগের সীমা-পরিসীমা নেই।
বিদেশ থেকে বাংলাদেশিদের পাঠানো টাকার পরিমাণ বেড়েছে। শুধু যে তৈরি পোশাক, তা নয়; ওষুধপত্রও আমরা রপ্তানি করছি। খাদ্য উৎপাদনও স্থবির হয়ে থাকেনি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের সূচকও খারাপ নয়।
কিন্তু যে প্রশ্নটা বারবার আসে, আসা দরকার; এলে ভালো; সেটা হলো- এসব উন্নতিতে জীবনযাত্রার গুণগত মান কতটা বাড়ল। বলাই বাহুল্য, পরিমাণের বৃদ্ধি মানেই যে গুণের বৃদ্ধি- এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। মাথাপিছু আয়ের হিসাব দিয়েও উন্নতির উৎকর্ষ বোঝানো যাবে না। ধরা যাক কর্মসংস্থান বিষয়ে। সেটা যদি না বেড়ে থাকে তাহলে উন্নতির হাঁকডাক অর্থহীন শোনাবে; শোনাচ্ছেও।
কর্মসংস্থানের একেবারে অপরিহার্য ক্ষেত্রে অগ্রগতি যে সামান্যই ঘটেছে, সেটাও একটি ভ্রূকুটি বটে। জ্বালানি তেলের হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। হেন কোনো পণ্য নেই, যার দাম বাড়েনি। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কম হওয়া সত্ত্বেও খোঁড়া অজুহাতে সরকার জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করে বসেছে।