আবু মহসিনের আত্মহত্যা ও কিছু আশঙ্কা

সমকাল মোহিত কামাল প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:২৭

বিষণ্ণতার কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের করা ২০০৫ সালে প্রকাশিত জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ৬.৪ ভাগ মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগছে। ২০১৯ সালে এটা বেড়ে ৭ ভাগের কাছাকাছি চলে গেছে। অর্থাৎ দিন দিন বিষণ্ণ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আর এখন করোনা মহামারির সময় এ সংখ্যা আরও বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডিতে আবু মহসিন খান নামে একজন ব্যবসায়ীর ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার ঘটনা দেশে বেশ আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে। তিনি আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্রের একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতার শ্বশুর। সেই অভিনেতার নাম এ লেখায় এনে তার প্রতি অন্যায় করতে চাই না। বরং যেসব গণমাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যম তার নাম প্রকাশ করে সংবাদ করেছে তারা অনৈতিক কাজ করেছে।



ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের আত্মহত্যার সঙ্গে নানা কারণ জড়িত। এখানে সামাজিক ও মানসিক বিষয় রয়েছে। আমরা আত্মহত্যার আগে লাইভে এসে মহসিন খানের বক্তব্যে দেখতে পাই, তার পাশে স্ত্রী নেই। ছেলে বিদেশে, মেয়ে স্বামীর সংসারে। তিনি একসময় ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তার ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ। বেশ কয়েকজন আত্মীয় ও পরিচিতজন তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সর্বোপরি নিঃসঙ্গতার কঠিন বাস্তবতায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। ৫৮ বছর বয়সী আবু মহসিন বলেন, 'ভিডিও লাইভে আসার উদ্দেশ্য হলো, মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং আমার যে এক্সপেরিয়েন্স, সেটা শেয়ার করলে হয়তো সবাই জানতে পারবে, সবাই সাবধানতা অবলম্বন করবে। গত ৩০ তারিখ আমার খালা মারা যান। তার একটি ছেলে আমেরিকায় থাকে, মা মারা গেল অথচ ছেলেটি আসল না। এটা আমাকে অনেক দুঃখ দিয়েছে। কষ্ট লেগেছে। আজকে আমার আরেকজন খালা মারা গিয়েছেন। তারও একটি ছেলে আমেরিকায় ছিল। অবশ্য তার তিনটা ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। তিনজনই বর্তমানে বাংলাদেশে আছেন। তারা হয়তো দাফন-কাফনের কাজ সম্পন্ন করছেন। সেদিক দিয়ে বলব, এই খালা অনেকটা লাকি। আমার একটা মাত্র ছেলে। সে অস্ট্রেলিয়াতে থাকে। আমার বাসায় আমি সম্পূর্ণ একা থাকি। আমার খালা মারা যাওয়ার পর থেকে আমার ভেতরে খুব ভয় করছে। আমি যদি আমার বাসায় মরে পড়েও থাকি, আমার মনে হয় না যে এক সপ্তাহ কেউ জানতে পারবে, আমি মারা গেছি।'

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও