![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2022-01%252F8339f96c-8011-4875-8323-ba34b11616ec%252Ftib_report_25_01_22.jpg%3Frect%3D0%252C0%252C2100%252C1103%26w%3D1200%26ar%3D40%253A21%26auto%3Dformat%252Ccompress%26ogImage%3Dtrue%26mode%3Dcrop%26overlay%3Dhttps%253A%252F%252Fimages.prothomalo.com%252Fprothomalo-bangla%252F2022-01%252F5a36c819-05a2-4bfb-ac50-57dd67355acb%252FBanner_7814X143.jpg%26overlay_position%3Dbottom%26overlay_width_pct%3D1)
দুর্নীতির ধারণাসূচকে হতাশা, কোন পথে বাংলাদেশ
বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি তাদের বার্ষিক দুর্নীতির ধারণাসূচক (সিপিআই)–২০২১ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ ১০০–এর মধ্যে ২৬ স্কোর পেয়েছে, যা ২০২০–এর সমান। এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও বাংলাদেশের স্কোর ২৬ ছিল। স্কোর এবার মোটেও বাড়ল না শুধু তা-ই নয়, বরং সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে র্যাঙ্কিংয়ের বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ২০২০–এর তুলনায় এক ধাপ নিচে, ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৪৭তম, যা হতাশাব্যঞ্জক। যদিও সর্বনিম্ন স্কোর প্রাপ্তের অবস্থান থেকে গণনা করলে বাংলাদেশের অবস্থান গতবারের তুলনায় এক ধাপ ওপরে, ১৩তম। দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের অবস্থান বরাবরের মতো এবারও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন, কেবল আফগানিস্তানের ওপর এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৩১টি দেশের মধ্যে তৃতীয় সর্বনিম্ন। অন্যদিকে আমাদের স্কোর বৈশ্বিক গড় ৪৩–এর অনেক পেছনেই রয়ে গেছে। উল্লেখ্য, ২০১২-২০২১—এই ১০ বছরে স্কোরের বিশ্লেষণে বাংলাদেশের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি, ২৬–এ স্থবির হয়ে রয়েছে, যা দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে এই দশকে আমাদের ব্যর্থতার পরিচায়ক।
কোনো দেশই শতভাগ স্কোর পায়নি, অর্থাৎ বিশ্বের কোনো দেশই দুর্নীতিমুক্ত নয়। ১৩০টি দেশ (৭২%) ৫০–এর কম স্কোর পেয়েছে। ২০২০ সালে এই হার ছিল ৬৭, অর্থাৎ সার্বিক বিবেচনায় বৈশ্বিক দুর্নীতি পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ১০০টি (৫৫%) দেশের স্কোর বৈশ্বিক গড় ৪৩–এর নিচে; যা গতবারও একই পর্যায়ে ছিল। ১০ বছরের স্কোরের গতির বিশ্লেষণে মিশ্র চিত্র দেখা যায়—৮৪টি দেশের স্কোর বেড়েছে, ৮৩টি দেশের কমেছে, ৭টি দেশ বাংলাদেশের মতো একই পর্যায়ে রয়েছে। ৭টি দেশের ক্ষেত্রে টাইম সিরিজ বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়নি।