নির্বাচন স্বস্তির নাকি শঙ্কার?
আধুনিক বিশ্বে জনপ্রতিনিধি বেছে নেওয়ার একমাত্র উপায় নির্বাচন। এখন আর ১৭ জন ঘোড়সওয়ার নিয়ে এসে রাজ্য দখল করে রাজতন্ত্র কায়েমের সুযোগ নেই। রাজতন্ত্র এখন টিকে আছে টিমটিম করে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সমাজতন্ত্রের উপযোগিতাও আর নেই।
সমাজতান্ত্রিক চীন বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক আধিপত্য কায়েম করছে পুঁজিবাদকে পুঁজি করেই। জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে, এই ব্যবস্থাই এখন বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই যে শেষ কথা, এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। বেশিরভাগ জনগণ যাদের ভোট দেবে, তারাই সরকার গঠন করবে। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও দেখা গেছে, ৩৫ ভাগ ভোট পাওয়া দল ক্ষমতায় চলে যায়। তার মানে ৬৫ ভাগ ভোটার যাদের বিপক্ষে ভোট দিল গণতান্ত্রিকভাবে তারাই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে যায়। তারচেয়ে বড় কথা হলো, বেশিরভাগ মানুষ যে সবসময় ভালোটা বেছে নেবে, তেমনটা নাও হতে পারে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নিজেদের ভালোটা বুঝতে গিয়ে সংখ্যালঘুদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।