গরুর জন্য মোটা চাল কিনতে কি মানুষ ওএমএস–এর লাইনে দাঁড়ায়?
বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা বুঝে বলেন, না বুঝে বলেন, জেনে বলেন, না জেনেও বলেন। যদিও তাঁদের কথা শুনলে মনে হয়, না জেনেই বেশি বলেন। অতিকথনের জন্য যদি বিশ্ব র্যাংকিং করা হতো, তাহলে নিঃসন্দেহে তাঁরা উপরের দিকে জায়গা করে নিতেন। নিজ মন্ত্রণালয়ের বাইরে যেকোনো বিষয়ে কথা বলতে তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এবং নিয়মিতই বলেন। এই যেমন কিছুদিন আগে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সড়কদ্বীপে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘পোস্টার’ ও ‘বজ্রকণ্ঠ’ আয়োজিত ‘দিন বদলের মেলা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেন, ‘এখন রিকশাওয়ালাও মোটা চাল খায় না, মোটা চাল এখন গরুকে খাওয়ানো হয়। বাংলাদেশে এখন আর কুঁড়েঘর নেই, কুঁড়েঘর শুধু কবিতায় আছে। আজ সেই কুঁড়েঘর লাকড়ি, গরু রাখা হয়, কিন্তু মানুষ থাকে না।’
এসব কথা তিনি বলতেই পারেন। সরকারি দলের মন্ত্রী-সাংসদেরা কথায় কথায় দেশকে সিঙ্গাপুর, আমেরিকার সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁরা দাবি করেন, বিশ্বের তাবৎ মোড়ল রাষ্ট্র সদা সর্বদাই চুপি চুপি কানে কানে বাংলাদেশের উন্নয়নের গোপন রহস্য জানতে চায়। বাস্তবতার সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ ঘটে কদাচিৎ। সুতরাং তাঁদের কথার সঙ্গে বাস্তবতার মিল থাকবে এই আশা আমরা করি না।