চাল দিয়ে লাভবান মিলাররা
গত বছরের চেয়ে আমন ধানের কিছুটা ভালো দাম পেয়ে কৃষক খুশি হলেও বিপাকে পড়েছে সরকার। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে স্থানীয় বাজারে দাম বেশি থাকায় সরকারি গুদামে ধান বিক্রিতে কৃষকের আগ্রহ নেই। এতে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রার ১০ শতাংশও অর্জন হয়নি গত দুই মাসে। বাকি দেড় মাসে ৯০ শতাংশের ওপরে ধান কেনার লক্ষ্য পূরণ সম্ভব নয়, বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তবে খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ধানে পিছিয়ে থাকায় তারা চাল কেনায় মনোযোগ দিয়েছে। মিল মালিকদের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে নিয়মিতই তারা চাল সরবরাহ করছে। এতে খাদ্যের মজুদ নিয়ে তেমন সমস্যা হবে না বলেও মনে করছে তারা।
কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে বাজারে দুই ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। সরকার এবার ধানের দাম বাড়িয়েছে এক টাকা, বিপরীতে চালের দাম বাড়িয়েছে তিন টাকা। এতে কৃষকের সরকারি গুদামে ধান দিয়ে খরচে পোষাচ্ছে না। তাঁরা দাম কিছুটা কম হলেও বাড়িতে ফড়িয়ার কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
বিপরীতে চালের দাম বেশি হওয়ায় মিল মালিকরা সরকারি গুদামে চাল দিচ্ছেন বেশি, যে চালগুলো বাজারে আসছে না। ফলে ভরা মৌসুমেও বাজারে চালের দাম বাড়ছে। সরকারের সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত লাভবান মিল মালিকরাই। কৃষক খুব একটা নয়।