সুবর্ণজয়ন্তীর মহাক্ষণ
অর্ধশত বছর। গুনে গুনে ৫০। বাংলাদেশের বয়স আজ। পরিণত বয়স বলা যায়? যায়। মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখেছে দেশ। দাঁড়িয়েছেও। সাধ্যের অতীত ছিল, এমন অর্জনও এখন করতলে। স্বনির্ভর যে দেশের স্বপ্ন ধরা দিয়েছিল একাত্তরে, সেই স্বপ্নপূরণের যাত্রা থেমে নেই। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে গেছে, ছড়াচ্ছে। ধমনিতে যে লোহিত স্রোত বয়ে যায়, সন্তর্পণে লুকিয়ে থাকে স্লোগান। মিশে থাকে রক্তের টান। মৃত্যু নেবে বুক পেতে, তবু মাথা নোয়াবার নয়।
‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলেছিল যারা, তাদের এখন চোখ পোড়ায়। ঈর্ষা হয়! হয়-ই তো। একাত্তরে তারা দাঁড়িয়েছিল শত্রুর পাশে। ভোলা যায়? পারে কি ভুলতে? ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়েছিল যারা, কালে কালে, তাদের অনেকেরই আজ অস্তিত্ব বিলীন। পরাভূতের শেষ পরিণতি তো এমনই হয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। যে সোনালি আভায় আলোকিত হয় দিগন্ত, দৃষ্টিসীমার শেষে, এই তো সেই আলো। উদিত সূর্যের অহংকার। তিমিরবিদারি। প্রজন্মের হাত ধরে বিশ্বজয়। উদ্যমী তরুণেরা আজ নির্ভীক, নির্ভয়। দেশের সীমানা পেরিয়ে অজানাকে জানার অদম্য আগ্রহ যাদের। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ তাদের হাতেই।
- ট্যাগ:
- মতামত
- স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী