গোবিন্দগঞ্জের সেই যুদ্ধের কাহিনি
১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্ব। ২৫ মার্চের ক্র্যাকডাউনের পর মুক্তিবাহিনী সংগঠিত হলে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর্যুপরি অভিযানে মার খেতে খেতে পাকিস্তানি হানাদাররা ইতোমধ্যেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল।
বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক, ব্রিজ, কালবার্ট, রেললাইন, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংসের মাধ্যমে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রায় সব যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে তাদের হেড কোয়ার্টার থেকে ফ্রন্ট লাইনে অবস্থানরত ব্যাটালিয়নগুলোতে যুদ্ধ সরঞ্জাম ও লজিস্টিক সরবরাহ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে যৌথ বাহিনীর সর্বাত্মক অভিযানের অগ্রযাত্রা ভালোভাবেই শুরু হয়ে যায়।