
হাসিঠাট্টার দুর্দিনে গণতন্ত্রের সম্মেলন
ঠাট্টা-মশকরা সমাজের সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। কিন্তু ‘হিউমার’ বা কৌতুককে আর নিতে পারছে না সমাজে অনেকে। বিশেষ করে যাঁরা ‘প্রভাবশালী’। তারই শিকার মুনাওয়ার ফারুকি। ভারতের আলোচিত কৌতুকশিল্পী তিনি। দর্শক-শ্রোতার সামনে দাঁড়িয়ে সরাসরি পারফর্ম করতেন। গেল সপ্তাহে ঘোষণা দিয়ে পেশা থেকে ইস্তফা দিলেন শাসক রাজনীতির চাপে।
এ রকম সাংস্কৃতিক দুঃসংবাদের সমসাময়িক নজির বিস্তর। তালেবান ক্ষমতায় এসেই হত্যা করেছিল কান্দাহারের কমেডিয়ান নজর মোহাম্মদকে। স্থানীয়দের কাছে তিনি খাসা জওয়ান নামে পরিচিত ছিলেন। গত এপ্রিলে বেইজিংয়ের থিয়েটারে এক কমেডি শোকে প্রায় সাত হাজার ডলার জরিমানা করেছে সে দেশের সরকার। একই সময় রেঙ্গুনে মিয়ানমার সরকার আটক করে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা ৬০ বছর বয়সী জারগানাকে। এসব মনে করিয়ে দেয় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এনবিসিতে কমেডি শো ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’ বন্ধ করতে খুব চেষ্টা করেছিলেন সে সময়।
এই অধ্যায়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় কার্টুন আঁকিয়েদের নামও যুক্ত করতে চায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। তাঁরা এখন আর আঁকেন না—বহুমুখী শঙ্কায়। প্রশ্ন উঠতে পারে, সমকালীন সমাজ ও রাষ্ট্রে হাসিতে এত অ্যালার্জি কেন প্রভাবশালীদের? এটা গণতন্ত্রহীনতার কফিনে শেষ পেরেকের মতো হয়ে উঠছে কি না?