ডাক্তার ভালো, সেবা নিম্নমানের
পিত্তথলীতে পাথর জমেছিল চারটি। ফেলবো কার দ্বারা– এই নিয়ে বহু চিন্তার পর ঠিক করলাম মগবাজারের একটি হাসপাতালে একজন অধ্যাপককে দিয়ে অপারেশনটি করাবো। কারণ, অনেকে তাকে দিয়ে অপারেশন করানোর সুপারিশ করেছেন। এই সেক্টরে তার অনেক নাম। সপ্তাহে প্রায় ২০ জনের গলব্লাডারের পাথর অপসারণ করেন তিনি। নির্ধারিত দিনে, ডাক্তারদের অনেক আন্তরিকতায় অপারেশনও হলো। কিন্তু অপারেশনের পর একটি হাসপাতালকে আমি যেমন কল্পনা করি, দেখলাম তার থেকে অনেক পিছিয়ে আছে এই হাসপাতালটি। নার্স, ওয়ার্ডবয় রোগীর ডাকে যথাযথ সাড়া দেয় না।
সবচেয়ে আশ্চর্য হয়েছি হাসপাতালটি রোগীদের কোনও খাবার দেয় না। তাদের রিসেপশনের পাশে একটি খাবার দোকান আছে সত্য কিন্তু তা রোগীদের খাবার উপযোগী না। এমনকি রাতে স্যুপ চেয়ে পেলেও, সকালে বললো স্যুপ শেষ হয়ে গেছে। অথচ আমাকে তরল খেতে হবে এটা ডাক্তারের নির্দেশ। পরদিন বিদায় বেলায় অধ্যাপক যখন দেখা করে বললেন, আমি চাইলে বাড়ি ফিরতে পারি, হাফ ছেড়ে বাঁচলাম, যদিও কমপক্ষে আরও একদিন আমার থাকার দরকার ছিল।