নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নিদারুণ পরিণতি
প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে হাজারো মানুষ মারা গেলেও তাতে কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথা ছিল না খুব একটা। দেশের পরিবহন খাত দীর্ঘদিন ধরে ১৯৩৯ সালের 'বেঙ্গল মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্ট' এবং পরে ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। নিরাপদ সড়কের জন্য যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দীর্ঘকাল ধরে আন্দোলন করেছেন তাদের দাবি ছিল- ওই আইনগুলো বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একেবারেই যথেষ্ট নয়। ওই আইনগুলোতে আর্থিক জরিমানা এবং কারাবাসের মতো শাস্তির পরিমাণ ছিল অতি নগণ্য।
এ ছাড়াও সময়ের সঙ্গে তৈরি হয়েছিল নতুন নতুন অপরাধ। তাই একটি নতুন আইন ছিল সময়ের দাবি। ২০১০ সালে নতুন সড়ক আইনের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১২, ১৩, ১৫ ও ১৬ সালে চার দফা খসড়া প্রণয়ন করা হয়। প্রতি খসড়ার সময়েই পরিবহন মালিক, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে শাস্তি কমানোর দাবি এসেছে। ক্ষমতাসীন দলের একজন এবং ক্ষমতাসীন জোটের আরেকজন সংসদ সদস্যের নেতৃত্বাধীন দুই সংগঠনের শক্তির কথা এ জাতি জানে। তাই আইনটি আর পাস হতে পারেনি।