তরুণের প্রাণ খেয়ে বাঁচা ‘সিস্টেম’ ও চুল কাটার মাস্টাররা
অবসাদ কি ঘিরে ধরছে আশাবাদী তরুণদের? তারা কি ক্ষমতার বিকারের শিকার হচ্ছে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য প্রাক্তন এক ছাত্রের লাশ ঝুলে ছিল তাঁর মেসঘরে। দুপুরের ঘটনা। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ঢাকার চানখাঁরপুলের ওই মেসবাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয় ২৭ সেপ্টেম্বর। তাঁর নাম মাহাদি আল হাসান।
ক্যাম্পাসপাড়ায় অপু নামে পরিচিত ছিলেন। বিভাগের বারান্দা ছাপিয়েও তিনি পরিচিত ছিলেন প্রতিবাদী ছাত্রনেতা হিসেবে। প্রগতিশীল এই যুবক অথচ কোনো সংগঠন করতেন না। চলচ্চিত্রকার ছিলেন, পড়ুয়া ছিলেন এবং একই সঙ্গে দারুণ মেধাবী হওয়ার বিরল নজিরও দেখিয়েছিলেন। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সব পরীক্ষায় তুমুল ভালো ফল করলেও ছিলেন নিরাশ। ঠেকে ঠেকে শিখে গিয়েছিলেন—তাঁর পক্ষে শিক্ষক হওয়া সম্ভব হবে না। প্রভাবশালী কোনো শিক্ষকের কুনজরে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।
সেই কুনজর কাটানোর জন্য রাজনৈতিক ক্ষমতার তাবিজ-কবচ যেহেতু তিনি নেবেন না, তাই চাকরি খুঁজতে হচ্ছিল তাঁর প্রিয় পেশা শিক্ষকতার বাইরে।