ইভানার আত্মহত্যা ও ব্যারিস্টার না হয়ে তাঁর ‘মিসেস ব্যারিস্টার’ হওয়ার কাহিনি
ইভানা আমার ছাত্রী ছিল। চিনেছেন তো ইভানাকে? ওই যে মেয়েটি ১৫ সেপ্টেম্বর নয়তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে! ফরসা, কোঁকড়া চুলের ছোটখাটো পুতুলের মতো একটা মেয়ে, আমি বলতাম অ্যাঞ্জেলিক ফেস। বাঙালি উপমায় একেই বোধ হয় বলে ‘ফুলের মতো’। কথা বলত কম। যেটুকু বলত, তাও খুবই কোমল স্বরে, নিচু গলায়। আমি ভীষণ স্নেহ করতাম, কারণ ছাত্রী হিসেবে ছিল অতি মেধাবী।
অনার্স শেষ বর্ষের ক্লাস নিতাম আমি। এই বর্ষেই সবাই ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য আবেদন করে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে দেখতে কে কোন বার স্কুলের অফার পেল, তিন বছর যে স্বপ্ন নিয়ে তারা পথ চলে, শেষ বর্ষ হলো তা পূর্ণতা লাভের বছর। আমরা, শিক্ষকেরাও এ সময় তাদের মতোই টেনশনে থাকতাম। বার স্কুলে আবেদন নিয়ে সবাই যখন ব্যস্ত, দেখি বিষণ্ন মুখে চুপচাপ ইভানা। ক্লাসের অতি মেধাবীদের একজন সে। তাই শিক্ষক হিসেবে সংগত কারণেই ডেকে প্রশ্ন করলাম, কোথায় কোথায় আবেদন করছে সে। চাপা কষ্টের গলায় জানাল, ব্যারিস্টারি পড়তে যেতে দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি আছে পরিবারের।