করোনায় নিঃস্ব মানুষের বোবা কান্না কে শুনবে?
বেসরকারি স্কুলের একটি দরজা খোলা। কিছুক্ষণ পর পর সব বয়সী কিছু মানুষ ঢুকছে আর বের হচ্ছে হাতে কিছু নিয়ে। আসলে সেখানে এখন শিক্ষা দেয়া হয় না। করোনার জন্য প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ রয়েছে। তবে নিরুপায় হয়ে কিছু নিত্যপণ্যসামগ্রী কিনে মুদি দোকান খুলে বসে আছেন একজন শিক্ষক। স্কুলের ঘর, বারান্দা, সাইনবোর্ড, মিনা-রাজু-মিঠুর-কার্টুনবোর্ড, স্কুলের ফোন নম্বর সবকিছুই জানান দিচ্ছে সেটা একটা শিক্ষালয়। লেখাপড়া করার জায়গা। বিদ্যাদান ও বিদ্যাগ্রহণ করাই সেই ঘর ও লোকগুলোর আসল কাজ। গত দু’বছরে বারান্দায় ঘাস গজিয়ে বড় হয়েছে। টিনের চালের ফাঁকে শালিক, চড়ুইরা বাসা বেঁধেছে। সাইনবোর্ডটিতে পাখির বিষ্ঠা ও মরিচা ধরেছে। অযত্নে-অবহেলায় শিক্ষায়তনটির একটি কক্ষে এখন দোকান ঘর। বাকি ঘরগুলোর বেড়া খসে পড়ে যাচ্ছে। গেল কালবৈশাখী ঝড়ে একটি বেড়া খুলে গেলেও কেই সেটা মেরামতে এগিয়ে আসেনি।