লুটের নেপথ্যে সিআইডি কর্মকর্তা, ঘুষের অভিযোগ ডিবির বিরুদ্ধে
দুবাই প্রবাসী এক ব্যক্তিকে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে আটকিয়ে সর্বস্ব লুটে নিয়েছিলেন সিআইডির এক কর্মকর্তা। তার সঙ্গে ছিল সিআইডির আরেকজন রাইটার, আর বেশ কয়েকজন পেশাদার ডাকাত ও ছিনতাইকারী। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গ্রেফতারের নামে তাকে রাজধানীর কাউলা থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। পরে হাত-পা ও চোখ বেঁধে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয় ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায়। পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ডাকাতি করা এই চক্রটিকে ঘটনার তিন মাস পর শনাক্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
সে সময় গ্রেফতার করা হয় ডাকাত দলের ছয় সদস্যকেও। তবে এতদিন বিষয়টি ছিল গোপন। এক বছর আগের এই ঘটনা সম্প্রতি আলোচানায় এসেছে একটি অডিও ক্লিপের সূত্র ধরে। ওই অডিও ক্লিপে অভিযুক্ত সিআইডি কর্মকর্তার স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, আসামীদের ছাড়িয়ে নিতে তারা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারকে প্রায় দেড় কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা নিয়েও ডিবি পুলিশ কাউকে ছাড় দেয়নি। উল্টো বিভাগীয় মামলার মাধ্যমে সিআইডির ওই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে খোদ পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।