মূল্যস্ফীতির চাপে কেবল দরিদ্ররাই নয় মধ্যবিত্তও
করোনার কারণে বদলে গেছে বিশ্ব। নিত্যনতুন শঙ্কায়, ভয়ে গুটিয়ে আসছে মানুষের যত সংগ্রাম ও সংকল্প। বাড়ছে ক্ষুধা-অপুষ্টি, দৈহিক ও মানসিক রোগ, সর্বব্যাপী হাহাকার। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমলেও করোনার বিষক্রিয়া থেকে এখনো মানুষ পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি। এখনো অনেকের ঘরে খাবার নেই। কাজ নেই। কাজ থাকলেও বেতন-ভাতা-মজুরি নেই। এই চিত্র গোটা পৃথিবীর! আর এই পরিস্থিতিতে দেশে দেশে অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে। উৎপাদন কমে যাওয়াসহ নানা উপসর্গে ভুগছে বিশ্ব অর্থনীতি। এশিয়া থেকে আমেরিকা এমনকি ইউরোপের দেশগুলো পর্যন্ত এখন ধুঁকছে উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বিশ্ব জুড়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ক্রমবর্ধমান। জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের এক সূচক অনুযায়ী, গত বছর জুলাইয়ে খাদ্যপণ্যের যা দাম ছিল, তার তুলনায় এ বছরের জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যের সামগ্রিক মূল্যস্তরে বৃদ্ধি ঘটেছে ৩১ শতাংশ। আমাদের দেশেও মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। করোনার আবহে অর্থনীতির বেহাল দশাও এখনো কাটেনি। করোনার আঘাতে শুধু যে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, তা নয়। নানা সময়ে ঘোষিত লকডাউনের প্রভাব পড়েছে অর্থনীতির ওপরও। এই আবহে দেশে মূল্যস্ফীতির হারও ক্রমাগত বাড়ছে।