পরীমণির জামিন ও হাইকোর্টের ঐতিহাসিক নির্দেশনা
আল্লাহ যা করেন তা ভালোর জন্য করেন। বাংলাদেশে নারী নির্যাতন ও নারীর অবমাননা প্রতিরোধ এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে চলেছে। হাইকোর্টের এক নির্দেশ জারির ফলে বাংলাদেশের মানুষের মনে অবশ্যই এই আশা জাগ্রত হবে। বলছিলাম আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্য করেন। পরীমণি জেল খেটেছেন সাতাশ দিন। বিনা বিচারে পুলিশের ঔদ্ধত্যের কারণে এই জেল খাটা অবশ্যই কষ্টকর। কিন্তু তার এই কষ্ট সার্থক হয়েছে পুলিশ ও নিম্ন আদালতের একশ্রেণির বিচারকের সংবিধানবিরোধী কার্যকলাপ উন্মোচনে।
পরীমণি আমার নাতনির বয়সী। তাকে আরও একটি কারণে অভিনন্দন জানাই, বাংলাদেশে বহু নারী কিছু নব্য ধনীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন। আত্মসম্মানের ভয়ে তারা মুখ ফুটে কখনও এই সমাজশত্রুদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাননি। পরীমণি সাহস করে মুখ খুলেছেন এবং এই নব্য ধনীদের বিকৃত রুচির পুরুষতন্ত্র এবং তাদের সহযোগী রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার সাহস দেখানোর ফলে বাংলাদেশে নারী নির্যাতন বন্ধ করার ক্ষেত্রে পরীমণি এক ইতিহাস সৃষ্টি করে দিলেন। এখন এই সংগ্রামে যোগ দিতে অনেক নারী সাহস পাবেন।