মহামারির অন্তর্নিহিত বার্তা
করোনা বিপর্যস্ত বিশ্বে স্বস্তি কবে ফিরে আসবে—এ যেন অন্তহীন জিজ্ঞাসা। এটা পরিষ্কার করার জন্য যে চীন থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর ঘটনাটার পেছনে একটা ঐতিহাসিক প্রস্তুতি ছিল। মারাত্মক এই জীবাণুটি চীনের জৈব রাসায়নিক পরীক্ষাগার থেকে বের হোক আর না-ই হোক, তাদের অধুনা-অবলম্বিত পুঁজিবাদ থেকেই যে সে উত্পন্ন হয়েছে সে ব্যাপারে তো বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ নেই। অধুনা চীন অতি অল্প সময়ে অবিশ্বাস্য রকমের উন্নতি করেছে এটা ঠিক, কিন্তু সেই উন্নতিতে মানবিক মূল্যের দিকটা মনোযোগ পায়নি। জাতীয় সম্পদের বৃদ্ধি ঘটেছে, কিন্তু মানুষের নিরাপত্তা বাড়েনি, উলটো কমেছে। তাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যে অত্যন্ত উন্নত, এটা প্রমাণ করার জন্য চীনের হাসপাতালে কত মিলিয়ন শয্যা রয়েছে, কত মিলিয়ন পেশাগত চিকিত্সক সে দেশে কাজ করছেন—এসবের পরিসংখ্যান প্রাসঙ্গিক বটে, কিন্তু খুবই জরুরি তো ছিল করোনা ভাইরাসের মতো মানুষ ও মনুষ্যত্ব-ধ্বংসে অভিলাষী জীবাণু যে তলে তলে যুদ্ধ-প্রস্তুতি নিচ্ছে সেটা জানা। জানলে এবং ব্যবস্থা নিলে বিশ্বব্যাপী মানুষের সমস্ত অর্জন আজ এমনভাবে বিপদগ্রস্ত হতো না।