আফগানিস্তানে বাংলাদেশ কী ভূমিকা রাখতে পারে
নাটকীয় কোনো পরিবর্তন না ঘটলে মার্কিন দখল-পরবর্তী আফগানিস্তানের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর শিগগির ক্ষমতার পালাবদল ঘটতে পারে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও নতুন রাজনৈতিক বিন্যাস নিয়ে সবাই কাজ করছে। তালেবানদের দাবি অনুসারে আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। দখলকৃত এলাকার পরিসীমা বৃদ্ধির সমান্তরালে কূটনৈতিক তৎপরতাও পরিচালনা করছে তালেবানরা। ওয়াশিংটনের সঙ্গে শান্তিচুক্তি ছাড়াও তেহরান থেকে মস্কো চষে বেড়াচ্ছেন তালেবান প্রতিনিধিরা।
বেইজিংয়ের সঙ্গেও সাম্যাবস্থা তৈরির চেষ্টা করছে। তালেবানদের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তুর্কমিনিস্তান ও উইঘুরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তালেবানরা সহায়তা করবে না। মধ্য এশিয়ার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে তালেবানরা সবার সঙ্গে একযোগে কাজ করবে। সুহাইল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী অক্ষকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন, তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে আফগানিস্তান নতুন করে সন্ত্রাসী তৎপরতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে না; বরং শান্তির পথেই হাঁটবে তালেবান।