দরিদ্রদের মধ্যে করোনা বাড়ছে
আইসিইউতে আছেন সেলিনা খাতুন (৩৫)। তাঁর বোন বলছেন, এই চিকিৎসার খরচ বহন করার সামর্থ্য তাঁদের আর নেই। চিকিৎসককে পীড়াপীড়ি করছেন, তাঁদের ছুটি দিয়ে দিতে। রোগী নিয়ে বাড়ি চলে যেতে চান তাঁরা। চিকিৎসক বললেন, রোগীর মুখ থেকে অক্সিজেনের মাস্ক খুলে নিলেই তিনি মারা যাবেন। কে খুলবেন সেই মাস্ক? সেলিনার ছেলে সাব্বিরকে মায়ের মুখ থেকে অক্সিজেনের মাস্ক খুলে নিতে বলা হয়।
কাঁদতে কাঁদতে ছেলে বলেন, ‘আমি মায়ের মুখের মাস্ক খুলতে পারব না।’ শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেলিনার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। চার দিন ধরে এভাবেই সেলিনার চিকিৎসা চলছে। তিনি এখনো বেঁচে আছেন। সেলিনার মতো দরিদ্র পরিবারের অনেক রোগী গ্রামগঞ্জ থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বা করোনার উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। যাঁদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার সামর্থ্য নেই।