সর্বজন খাতে রক্ষণশীল, গোষ্ঠীতন্ত্রে উদার বাজেট
এবারের বাজেট নিয়ে জনগণের বড় ধরনের প্রত্যাশা ছিল। করোনার প্রথম ধাক্কায় মানুষের জীবন ও জীবিকা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়। দ্বিতীয় ধাক্কা অনিশ্চয়তা আরো ঘনীভূত করেছে। প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা আবারো ঊর্ধ্বমুখী। মানুষ আশা করেছে, বাজেটে তাদের অনিশ্চিত জীবন ও জীবিকা পুনরুদ্ধারের কৌশল থাকবে। নিম্ন আয়ের মানুষ, দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, বৃদ্ধ, শিশু, নারীসহ সমাজের দুর্বল ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর হাতে নগদ অর্থ পৌঁছানো হবে। সবার জন্য দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
নতুন দারিদ্র্য মোকাবেলার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা থাকবে। বেকার, যুবক, ছাত্রছাত্রী, অভিবাসী শ্রমিকদের দুরবস্থা লাঘবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কৃষক, ছোট কারবারি, অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যও আশা জাগিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘সব শ্রেণীর মানুষকে মাথায় রেখে বাজেট করছি’, ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে গুরুত্ব পাবে স্বাস্থ্য খাত’। প্রস্তাবিত বাজেটের শিরোনামও দিয়েছেন, ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’। জনগণের প্রত্যাশার সাথে বাজেটের মিল-অমিল দেখা খুবই জরুরি।