আইসিইউ শয্যা দুর্লভ, ভেন্টিলেটর যেন অধরা

ডেইলি স্টার স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৩২

হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) একটি শয্যা পাওয়ার চেষ্টা করাটা যে কতটা বেদনাদায়ক, এই মুহূর্তে শুধু গুরুতর অসুস্থ কোভিড-১৯ রোগীদের পরিবারের সদস্যরাই তা জানেন। সারা শহরজুড়ে আইসিইউ ওয়ার্ডগুলোতে এক বিন্দু জায়গাও খালি পাওয়া যাচ্ছে না। আর গুরুতর রোগীরা অপেক্ষমাণ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।


কেউ যদি ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে না থাকে, তাহলে তার জন্যে সরকারি হাস্পাতালে আইসিইউ শয্যা পাওয়া যেন এক অলীক স্বপ্ন।


ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউর বাইরে একাধিক পরিবারের সঙ্গে কথা বলে একটি বিষয় খুব পরিষ্কার হয়েছে যে, একটি আইসিইউ শয্যা খুঁজে পেতে হলে অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়।


কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৩০-৩২ জন রোগী হাসপাতালটির ১০ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউতে একটি শয্যা পাওয়ার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিজ জেলার হাসপাতালে ৭ বছর ধরে তালাবদ্ধ আইসিইউ


করোনা মহামারিতে আইসিইউ বেডের জন্য যখন রাজধানীসহ সারাদেশে হাহাকার, তখন মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে ঝুলছে তালা। দুই বেডের এই আইসিইউ বিভাগে যন্ত্রপাতি অলস পড়ে থাকলেও, দক্ষ জনবলের অভাবে বন্ধ রয়েছে। ১৪ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার জেলায় আইসিইউ সুবিধা না থাকায়, মুমুর্ষ রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে জরুরী এই সেবা থেকে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ -৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেকের নিজ জেলা মানিকগঞ্জ হলেও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের উদ্বোধনের ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও তালাবদ্ধ সিসিইউ।


করোনার আইসিইউ বিল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবার


করোনায় আক্রান্ত হয়ে টানা ১১ দিন রাজধানীর গ্রিনলাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন মিজানুর রহমান (ছন্দনাম)। তার দুই ছেলে প্রতিদিন হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে চলেছেন। ভর্তির পর থেকেই প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে তাদের। মধ্যবিত্ত পরিবারের হলেও তারা এ খরচ জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) গ্রিনলাইফ হাসপাতালের পাঁচ তালায় আইসিইউয়ের সামনে কথা হয় মিজানুর রহমানের বড় ছেলের সঙ্গে।


তিনি বলেন, ‘ওই সময় (১১ এপ্রিল) কোথাও আইসিইউ খালি ছিল না। অবশেষে এখানে পেয়ে যাই। ভর্তির সময় শুনেছিলাম প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হবে। এখন দেখি খরচ হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। এতো টাকা প্রতিদিন জোগাড় করা খুব কষ্টকর হয়ে যায়।’


তিন মাসের আগে শেষ হচ্ছে না আইসিইউ অবকাঠামোর কাজ


দেশে গত বছর নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। মহামারী মোকাবেলা ও জেলা পর্যায় পর্যন্ত চিকিৎসা কাঠামো উন্নত করতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় হাতে নেয়া হয় একটি প্রকল্প। এরপর পেরিয়েছে ১১ মাসের বেশি সময়। 


কুমিল্লায় গ্রামের হাসপাতালে আইসিইউ


কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দিতে এবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলায় ছয়টি আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) শয্যা চালু হচ্ছে। একই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও থাকছে। কুমিল্লা-১০ আসনের সাংসদ ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষের জন্য এই ব্যবস্থা করেছেন। আগামী সপ্তাহে এই সেবা চালু হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও