'ভ্যাকসিন পাসপোর্ট' নিয়ে বিভ্রান্তি ও বিতর্ক
সম্প্রতি ভ্যাকসিন পাসপোর্ট নিয়ে পুরো পৃথিবীতেই বেশ কথা শোনা যাচ্ছে। এবং অনেকের মনেই নানান ধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, তাদের নতুন করে পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে, যা তাদের বিদেশ গমনের সময় লাগবে। শব্দটি বিতর্ক তৈরি করেছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই এটা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এবং অনেক রাষ্ট্রপ্রধান এটা নিয়ে কথা বলছেন। তবে এটাকে যেন 'পাসপোর্ট' বলা না হয়, সেই বিষয়টি পুরো বিশ্বেই বড় আকারে এসেছে। বাংলাদেশেও আমরা এটাকে পাসপোর্ট বলতে শুরু করেছি। কিন্তু পুরো বিষয়টি একটু বোঝার ব্যাপার রয়েছে।
২.
'ভ্যাকসিন পাসপোর্ট' কোনো কাগজের পাসপোর্ট নয়। আমরা প্রচলিতভাবে যে পাসপোর্ট দেখে অভ্যস্ত, এটা তা নয়। মূলত এটা কোনো ধরনের পাসপোর্টই নয়। শুধু 'পাসপোর্ট' শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে, যেহেতু এটা অনেকটা প্রচলিত পাসপোর্টের মতোই কাজ করে। তবে আবারও বলছি, কেউ যেন এটাকে সবুজ পাতার বাংলাদেশের পাসপোর্টের মতো কিছু মনে না করেন।
কারণ পাসপোর্ট শুধু ব্যবহার করা হয় কারও আইডেন্টিটি নিশ্চিত করার জন্য এবং বর্ডার পার হওয়ার জন্য।টিকার ক্ষেত্রে যখন এই টার্মটি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি মূলত একটি ছাড়পত্র- যার মাধ্যমে প্রমাণ করা যাবে, আপনি টিকা নিয়েছেন। এটাকে এক ধরনের সার্টিফিকেট বলতে পারেন। তবে এটা ছাপানো কোনো সার্টিফিকেট নয়। আপনার টিকা দেওয়ার তথ্যটি ডিজিটাল করে সেটি আপনার স্মার্টফোন অ্যাপের ভেতর কিংবা কিউআর কোড দিয়ে দেওয়া হলো। যেখানে আপনার কভিড পরীক্ষার ফলাফলও থাকতে পারে। মূলত একটি ডিজিটাল সিগনেচার, যার মাধ্যমে অন্যপক্ষ বুঝতে পারবে আপনার টিকা দেওয়ার স্ট্যাটাসটা কী!