মিয়ানমারের অদম্য তারুণ্যকে দমানো যাবে না
মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই ৩০ বছরের কম বয়সী। তাঁদের অনেকেই গত এক দশকে দেশটির ভঙ্গুর ও অসম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণ থেকে উপকৃত হয়েছেন। তাঁরা জানেন গত এক দশকে দেশটিতে অপ্রস্ফুটিত গণতন্ত্রের ছোঁয়াতেও সামাজিক উন্নয়ন ও মৌলিক স্বাধীনতার যে সুফল তাঁরা পেয়েছেন, জান্তা সরকারের হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়ায় তা শেষ হয়ে যেতে পারে। তাঁদের ভবিষ্যৎ চরম অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।
শুধু সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যক্তিস্বাধীনতাই নয়, এই তরুণদের জীবনও হুমকির মুখে পড়েছে। গত ২৭ মার্চ জেনারেল মিন অং হ্লাইং মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে দেওয়া ভাষণে দাবি করেছেন, সেনাবাহিনী সাধারণ জনগণকে সুরক্ষা দেবে এবং গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে। কিন্তু আদতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই দেশটিতে রক্তক্ষয়ী দিনের শুরু হয়। ওই দিন মরণাপন্ন সন্তানকে জড়িয়ে ধরে এক অসহায় বাবা বলছিলেন, ‘আজ আমার জীবন ও ভবিষ্যৎ দুই-ই শেষ হয়ে গেল।’ এই বাবার মতো হাজার হাজার তরুণ চোখের সামনে তাঁদের ভবিষ্যৎকে উবে যেতে দেখে রাস্তায় নেমে এসেছেন।