মোদির দাবি এবং ভারতীয় মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া
শহীদের রক্ত ও মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে আমাদের স্বাধীনতা সম্পর্কে নিত্যনতুন তথ্য শুনতে হচ্ছে। জানি না আগামীতে আরো কত নতুন তথ্য শুনতে হবে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ও স্বচক্ষে প্রত্যক্ষদর্শীর কলমে বর্ণিত ইতিহাস আমাদের কাছে সংরক্ষিত থাকার পরও যখন একেবারে নতুন তথ্য শুনতে হয়, তখন মনের ভেতর নানা রকম প্রশ্ন জেগে ওঠে। সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা জাগে, যারা উঠতে বসতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস আত্মস্থ করিয়ে দিতে চায়, তারা নিত্যনতুন তথ্যকে কেন চ্যালেঞ্জ করে না? বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অতিথি হয়ে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের একেবারে নতুন তথ্য দিয়ে গেলেন। এতে আমরা কতটুকু অবাক হয়েছি জানি না, তবে ভারতের মানুষ এবং মিডিয়া বেশ অবাক হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি বলেন, তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্য সত্যাগ্রহ করেন। এর জন্য তিনি গ্রেফতার হন এবং কারাবন্দীও হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে এ কথা বলে মোদি নিজেকে বাংলাদেশের কাছের মানুষ হিসেবে প্রকাশ করতে চেয়েছেন। অথচ তিনি ও তার দল প্রায় ক্ষেত্রে নিজেদের বাংলাদেশবিরোধী হিসেবে প্রকাশ করে চলেছেন।