নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রথম আলো বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২১, ১৭:০৬

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কয়েকটি ইসলামি দল। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকের সামনে সমমনা ইসলামি দলগুলো এ কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচি থেকে ২৬ মার্চ রাজপথে থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বক্তারা। ওই দিন নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।

সমমনা ইসলামি দলগুলোর পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই বায়তুল মোকাররম মসজিদের চারপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। জুমার নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন বিভিন্ন ইসলামি দলের কর্মীরা।

'নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না'

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টন হয়ে বিজয় নগর গেলে সেখানে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে বিক্ষোভকারীরা আবার মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররমে ফিরে আসে। সমাবেশে মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, অধ্যাপক আহমদ আব্দুল কাদের, আহমদ আলী কাসেমী প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে মিছিল ঘিরে পুলিশ আগে থেকেই ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়।

নরেন্দ্র মোদির ২দিনের বাংলাদেশ সফরে জোড়া লক্ষ্য

২৬ মার্চ ২দিনের বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত বছর করোনাভাইরাস প্রকোপ শুরুর পর এটাই তার প্রথম বিদেশ সফর। সফরে যথারীতি অগ্রাধিকার পাচ্ছে ‘প্রতিবেশি প্রথম’ নীতি। হিন্দুস্থান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুত্রে হিন্দুস্থান টাইমস জানিয়েছে, দু’দিনের সফরে একঝাঁক কর্মসূচি আছে মোদির। বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষ – ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেইসঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন। সেই অনুষ্ঠানগুলিকে ‘তিনটি উল্লেখজনক অনুষ্ঠান’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সফরের প্রথম দিনেই (২৬ মার্চ) বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার টেবিলে বসবেন। রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ এবং বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।


নরেন্দ্র মোদির লজ্জা থাকলে বাংলাদেশে আসবেন না


ইসলাম ও কুরআনের দুশমন নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের মানুষ বরণ করতে পারে না। ভারত মুসলমানদের সাথে খেলা শুরু করেছে কখনো মসজিদ ভেঙ্গে, কখনো সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করে, কখনো পানি বন্ধ করে দিয়ে, কখনো গরুর গোশত খাওয়ার অপরাধে মুসলিম হত্যা করে। মোদির লজ্জা থাকলে বাংলাদেশ সফরে আসবেন না। বাংলাদেশে সফরে আসলে ইসলাম ও মানবতার এই দুশমন মোদিকে সীমান্তে হত্যাকারীদের কঙ্কাল উপহার দেয়া উচিত। বাংলাদেশের জনগণ নরেন্দ্র মোদির আগমন সহ্য করতে পারছেন না। তাই সরকারকে মোদির সফর বাতিল করতে হবে। বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেছেন।

ওড়াকান্দিতে উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ডঙ্কা-কাঁসা বাজিয়ে স্বাগত জানানো হবে নরেন্দ্র মোদিকে


বাংলাদেশে মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থভূমি গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ও মন্দির পরিদর্শনের খবরে এই সম্প্রদায়সহ স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। মোদি আসার পর উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ডঙ্কা-কাঁসা বাজিয়ে তাঁকে স্বাগত জানানোর সব আয়োজনই সম্পন্ন করা হচ্ছে ঠাকুরবাড়ির পক্ষ থেকে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৬ মার্চ ঢাকায় আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ সফরের সময় তিনি বাংলাদেশের দুটি মন্দির পরিদর্শন করবেন। মন্দির দুটি হচ্ছে গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ মন্দির এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে অবস্থিত যশোরেশ্বরী কালীমন্দির।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও