
মমতার উত্থানে সহায় এনডিএ, দাবি শুভেন্দুর
বিরোধী নেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথে যে সব আন্দোলনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্য বলে ধরা হয়, সে সবের কৃতিত্বও পুরনো দলনেত্রীকে দিতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ছোট আঙারিয়া থেকে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম— এক একটি মাইলফলক তৃণমূল নেত্রী গড়তে পেরেছেন এ রাজ্যে তাঁর মতো নেতা ছিলেন বলে, আর দিল্লির এনডিএ সরকার পাশে ছিল বলে।
সোমবার ছোট আঙারিয়া দিবসে গড়বেতার সভামঞ্চ থেকে অতীত উস্কে শুভেন্দু বলেন, ‘‘২০০১ সালের ৩ জানুয়ারি কেশপুরে বিজেপি-তৃণমূল যৌথ সভা ছিল। অনেকে আক্রান্ত হলেন, বাস ভাঙচুর হল। পরদিন ছোট আঙারিয়ার ঘটনা। সে দিন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীজি, ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার লালকৃষ্ণ আডবাণীজি এনডিএ-র প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন। ঘটনার সিবিআই তদন্তও হয়। আর সিঙ্গুরের অনশন ভেঙেছিলেন রাজনাথ সিংহের হাতে সরবত খেয়ে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে আমি ছিলাম। সেই সময়ও লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজরা এসেছিলেন।’’ পুরনো সে সব আন্দোলনে নিজের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে শুভেন্দুর সংযোজন, ‘‘তখন তো সব ঘরে ঢুকে গিয়েছিল। আমি অক্সিজেন দিয়ে আবার সব প্রতিষ্ঠা করেছিলাম।’’ এর পাল্টা হিসেবে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলছেন, ‘‘বিশ্বাসঘাতক, মীরজাফরের মুখে এখন বড় বড় কথা। এই রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষ সে কথা জানেন বলেই তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। কিছু লোক দল ছেড়ে গিয়ে লজ্জাহীন ভাবে মিথ্যা বলছে।’’