খাঁচা নিয়ে বাড়াবাড়ি, পাখির খবর নাই
কবিতায়, শিল্পে, গানে মানুষের মন নিয়ে, শরীর নিয়ে; মনের সাথে শরীরের সম্পর্ক নিয়ে নানান আলোচনা৷ কোথাও সরাসরি, কোথাও প্রতীকী৷ আধ্যাত্মবাদেও মনের মানুষের খোঁজে নানান তত্ত্বকথা আছে৷ সব প্রাণীরই শরীর আছে, কিন্তু উন্নত মন আছে শুধু মানুষের৷ মানুষ চিন্তা করতে পারে, সৃষ্টি করতে পারে, ধ্বংসও করতে পারে৷ উন্নত মন আর চিন্তাশীলতাই মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছে৷
শারীরিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী প্রাণীকেও মানুষ বশ করেছে তার বুদ্ধি দিয়ে, কৌশল দিয়ে৷ কার গায়ে কত বেশি জোর আছে, তা দিয়ে কখনোই শ্রেষ্ঠত্ব মাপা হয় না; মাপা হয় মনের সৃজনশীলতা দিয়ে, মানবিক চিন্তা দিয়ে৷ এ যুগের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং শারীরিকভাবে প্রায় অচল ছিলেন৷ কিন্তু তাও তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী৷ কারণ তিনি চিন্তা করতে পারতেন৷ তার মানে শরীরের চেয়ে মন কখনো কখনো বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ শরীর আর মন দুটি আলাদা বিষয়৷ কখনো কখনো আমাদের শরীর খারাপ থাকে, কখনো কখনো মনও খারাপ থাকে৷ কিন্তু আমরা শরীরের সুস্থতা নিয়ে যতটা চিন্তিত, মনের বিষয়টি ততটাই উপেক্ষিত৷ শরীর খারাপ হলে আমরা উতলা হয়ে যাই, মন খারাপকে পাত্তাই দিতে চাই না৷ নিজেরা তো মনকে পাত্তা দেইইনা, কেউ যদি মনের অসুখটা ধরিয়ে দেন, আমরা কৃতজ্ঞ হওয়ার বদলে তার ওপর ক্ষেপে যাই৷ শরীরের যেমন ডাক্তার আছে, মনেরও ডাক্তার আছে৷ কাউকে মনের ডাক্তারের কাছে যেতে বললে তিনি রেগে যান, মুখের ওপর বলে বসেন, আমাকে কি পাগল মনে মনে হয়? মন নিয়ে এই মানসিকতা আমাদের বিপদে ফেলে দেয়৷ সমস্যা অল্প থাকতে ডাক্তারের কাছে যাই না৷ কিন্তু
সত্যি সত্যি যখন আমরা ‘পাগল' হয়ে যাই, তখন পাগলের মত ছুটে যাই মনের ডাক্তারের কাছে৷ তখন অনেক দেরি হয়ে যায়৷