বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত একটার দিকে উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের পাঁচথুপি সরোয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সকালে স্বামীর বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামীকে আটক করেছে।
ওই গৃহবধূর নাম শেফালী খাতুন (৫২)। তিনি ধুনট উপজেলার পাঁচথুপি সরোয়া গ্রামের এশারত আলীর স্ত্রী। পুলিশ রোববার সকালে বাড়ি থেকে এশারত আলীকে আটক করেছে। পুলিশের ধারণা, স্ত্রীকে হত্যা করলে স্থানীয় এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হবে না ভেবে তিনি খুন করেছেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, পাঁচথুপি সরোয়া গ্রামের এশারত আলী বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন আসবাব তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তাঁদের অভাবের সংসার। করোনাকালে তাঁদের সংসারে অভাব আরও বেড়েছে। এ কারণে দুই মাস আগে স্থানীয় একটি এনজিওর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নেন শেফালী খাতুন। প্রতি সপ্তাহে ৩০০ টাকা করে ওই ঋণের কিস্তি দিতে হয়। আগামীকাল সোমবার সকালেও ৩০০ টাকা কিস্তি পরিশোধের কথা। কিন্তু তাঁদের কাছে কোনো টাকা নেই। এ নিয়ে শনিবার রাতে শেফালী খাতুন ও এশারত আলীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। রাত একটার দিকে স্ত্রীকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন এশারত আলী। খবর পেয়ে পুলিশ রোববার সকালে অভিযান চালিয়ে শেরপুর উপজেলার চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার থেকে এশারতকে আটক করে। একই সময় এশারতের বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী শেফালী খাতুনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.