সাইবার অপরাধ রোধকল্পে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ান
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ইন্টারনেটের কারণে যেমন যোগাযোগ বেড়েছে, তেমনি নানা ধরনের সুবিধা পাচ্ছে মানুষ। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধও। সাইবার অপরাধের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্ল্যাকমেইলিং, অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা, ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে প্রতারণা, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা তথ্য প্রচার, ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে প্রতারণা, সেক্সটারেশন, মোবাইল ব্যাংকিং জালিয়াতি ইত্যাদি। এছাড়া সাইবার অপরাধের মামলা করার জন্য দেশে মাত্র একটি ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে কোন ট্রাইব্যুনাল নেই। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদ।
আমরা মনে করি, সার্বিকভাবে সাইবার অপরাধকেন্দ্রিক যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে তা ভয়ানক। সঙ্গত কারণেই সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য হওয়া দরকার, সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা।
উল্লেখ্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের হিসাব অনুযায়ী ২০১৮ সালে তাদের কাছে সরাসরি এক হাজার ৭৬৫টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। ২০১৯ সালে অভিযোগের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৯৩২টি। ২০২০ সালে এ সংখ্যা ৩ হাজারেরও বেশি। এক্ষেত্রে এটাও উল্লেখ্য যে, সাইবার ক্রাইম বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, আগে সাইবার ক্রাইমবিষয়ক বেশি অভিযোগ আসত নারীদের কাছ থেকে। কিন্তু এখন সমান্তরালভাবে পুরুষরাও সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন। বস্তুত তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়বে, অপরাধের সংখাও তত বাড়বে এমন বিষয়ও আলোচনায় এসেছে। ফলে সাইবার ক্রিমিনালদের ব্যাপারে সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করা জরুরি। যেহেতু এমনটিও জানা গেছে যে, সাইবার ক্রাইমের শিকার হওয়া অনেকেই অসচেতনতার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল বা হয়রানির শিকার হচ্ছেন তখন সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে কাজ করার বিকল্প নেই।