সোনারগাঁয়ে বেড়াতে এসে সাবেক স্বামীর হাতে আঁখি আক্তার (২৬) নামের এক নারী খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিশ এলাকায় সলিমুল্লাহর মিয়ার ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা মর্গে প্রেরণ করেছে।রুবেলের আত্মীয় নিপা আক্তার জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার রুবেল তার সাবেক স্ত্রী আঁখিকে নিয়ে আমার বাড়িতে আসে। তারা জানান, দুজনের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি আছে তা কথা বলে মীমাংসা করবেন। সেজন্য তাদের আমার ঘরে বসতে দিবে হবে। আমি পূর্ব পরিচিত বিধায় তাদের ঘরে বসতে দিয়ে আমি বাড়ির ছাদে যাই। ছাদ থেকে ফিরে রুমের প্রবেশ করার সময় আমি কিছু বোঝার আগেই রুবেল আমাকে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে রুমে গিয়ে দেখি আঁখির গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। এ ঘটনায় আমি কিছুক্ষণের বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ি। পরে মোগরাপাড়া বাজারে গিয়ে রুবেলের বাবা মফিজুরকে বিষয়টি জানাই। পরে দু’জনই থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি আরো জানান, একই এলাকার হাবিবপুর ভাড়া থাকার সময় রুবেলদের সাথে তাদের পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে আজ সকালে সে আমার বাড়িতে আসে তার স্ত্রী সাথে কথা বলবে বলে। রুবেল শম্ভুপুরা ইউনিয়নের মুগারচর এলাকার মফিজুলের ছেলে।পুলিশ জানান, রুবেলের সাথে গত ৬ বছর আগে বিয়ে হয় বন্দর উপজেলার দেহলী চৌরাপাড়া এলাকা নজরুল ইসলামের মেয়ে আঁখির বিয়ে হয় রুবেলের সাথে। তাদের দাম্পত্য জীবনে হোমাইরা নামের বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। গত ৩ মাস আগে পারিবারিক কোহলের জের ধরে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। মঙ্গলবার সকালে তাকে একটি বাসায় ডেকে নিয়ে এসে গলা ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে সে পালিয়ে যায়। হত্যাকান্ডের নমুনা দেখে মনে হচ্ছে আঁখি ডেকে এনে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, বাড়ি মজলিশ এলাকা থেকে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা মর্গে প্রেরণ করেছে। তদন্তের জন্য নিপা আক্তার ও রুবেলের বাবাকে আটক করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.