কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দুর্ঘটনা রোধে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে

দৈনিক আজাদী সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২০, ০৫:৪৪

.tdi_2_a1d.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_a1d.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে। রোজই দেশের কোন না কোন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। হতাহত হচ্ছে একাধিক মানুষ। পালে-পার্বণে, বিশেষ করে দুই ঈদের সময় এ দুর্ঘটনা আকস্মিকভাবে বেড়ে যায়। এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি। চলমান কভিড-১৯ মহামারীর কারণে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল অপেক্ষাকৃত অনেক কম ছিল। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও কোরবানি ঈদের আগে ও পরে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন কোন দিন সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে না যেদিন সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত হচ্ছে না। গত ১৫ আগস্ট চট্টগ্রামের রাহাত্তারপুলে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে একটি ট্রাকের চালক নিহত হন। দৈনিক আজাদী এ খবর দিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের অভিমত, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ভুয়া লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালক ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো বন্ধ করা হলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে ফলপ্রসূ উদ্যোগ নেই। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালকদের বিচার ও যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি অনেক ক্ষেত্রে। আসলে এক্ষেত্রে একটি গভীরতর দায়মুক্তির সংস্কৃতি বিদ্যমান। এটি দূর করতে হবে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়ক পরিবহন আইন প্রণীত হয়েছে। এতে দায়ীদের শাস্তি বাড়ানো হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে শুধু শাস্তি বাড়ালেই হবে না, যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ায় তা যেন কার্যকর করা হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার আরেকটি কারণ মহাসড়কগুলোয় দ্রুত গতির পাশাপাশি ধীরগতির যানবাহন চলাচল। ধীরগতির যানবাহন চলাচল মহাসড়কে চলা বন্ধ করতে বিভিন্ন সময়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে খুব একটা সুফল পাওয়া যায়নি এ ধরনের যানবাহন বন্ধ করতে হলে সার্বক্ষণিক তদারকি এবং ব্যবস্থাপনাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণেও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই আমাদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরো উন্নত ও আধুনিক করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কগুলোকে ডিজিটাল নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা এক্ষেত্রে ফলপ্রসূ হতে পারে। সড়ক ব্যবস্থাপনা কোনো মানবিক বিষয় নয়, এটা বৈজ্ঞানিক বিষয়। বৈজ্ঞানিক সূত্রেই এটা পরিচালিত হয়। বিজ্ঞানের ধর্ম হলো, যে কোন সমস্যার সঠিক ও বহুমাত্রিক উপসর্গ অনুসন্ধান করে বের করা। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কেন হয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তার একটি মাত্র উপসর্গের দিকেই আমাদের সাধারণত নজর থাকে। সেটি হলো, দুর্ঘটনার সব দায় কেবল গাড়ি চালকের। এক্ষেত্রে দুর্ঘটনার বাকি যেসব নিয়ামক আছে, সেগুলো বেশির ভাগ সময়েই বিবেচনার বাইরে থেকে যায়। এটি মোটেই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গী নয়। এক পাক্ষিকভাবে চালকের ওপর দায় চাপালে সড়ক দুর্ঘটনার অন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো কখনও দূর হবে না। তাই নিরাপদ সড়কের জন্য সমন্বিত একটি কার্যকর কৌশল প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট সকলের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। দুর্ঘটনাক্রমশ: বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আর বসে থাকলে চলবে না। তাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে এক্ষেত্রে কাজ করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের অনেক সুপারিশ-পরামর্শ রয়েছে। সেসব পরামর্শ বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাছে রয়েছে। এগুলো যত শীঘ্র সম্ভব বাস্তবায়ন করতে হবে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দুর্ঘটনা রোধে যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখানো হয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। জানা গেছে, সেই নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন দেখভাল করার জন্য কয়েকজনকে দায়িত্বও দিয়েছেন। এখন তাদের সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন জরুরি। চালক ও যানবাহনের লাইসেন্স থেকে শুরু করে সড়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে যে ত্রুটি ও দুর্বলতাগুলো রয়েছে সেগুলো দূর করা গেলে সড়ক দুর্ঘটনার হার অনেক কমে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। তবে তার জন্য প্রয়োজন, সরকারি কর্তৃপক্ষ, ট্রাফিক পুলিশ, পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণের সম্মিলিত প্রয়াস। আমরা আশা করি, সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে সড়ক-মহাসড়কে অচিরেই শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে।.tdi_3_581.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_581.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও