শ্রীমঙ্গলে নির্বিচারে চলছে পাহাড় কাটা
শ্রীমঙ্গলে থামছে না পাহাড় কাটা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালীরা পাহাড় কেটে নির্মাণ করছে বসতি, বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ। এতে করে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পাহাড়ের নিচে বসবাসকারী পরিবারগুলো রয়েছেন পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে। শুক্রবার উপজেলার পাহাড়ি জনপদ রাধানগর, মোহাজিরাবাদ ও বিষামনি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। রাধানাগর মৌজার বেগুনবাড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় আবু তাহের নামে এক ব্যক্তি মাটি শ্রমিক দিয়ে প্রকাশ্য পাহাড় কাটছে। শ্রমিকরা কোদাল দিয়ে পাহাড়রের মাটি কেটে নিচে কৃষি জমি সৃজন করছে। আবু তাহের নিজেকে বিটিআরআই গেস্ট হাউজের বাবুর্চি পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আনারস বাগান সৃজনের জন্য পাহারের মাটি কাটতে হচ্ছে’। একই স্থানীয় প্রভাবশলীরা রাধানগর মোহাজিরা বাদ ও বিষামণি এলাকায় পাহাড় কেটে গড়ে তুলেছেন হয়েছে বসত বাড়ি, হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট এমনকি মসজিদ। এর পাশাপাশি চলছে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির কাজও। এভাবে পরিবেশ বিনষ্ট হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবাদীরা।নির্বিচারে পাহাড় কাটার ফলে অনেক জায়গায় পাহাড়ে ফাটলও দেখা দিয়েছে। আর এসব ঝুঁকিপূর্ণ বসতির উপরের অংশে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। এতে যে কোনো সময় পাহাড় ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির আশংকা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের অভিযোগে কিছুদিন পর পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হলেও পরে আবারো শুরু হয় পাহাড় কাটা। সিলেট বিভাগের পরিবেশবাদী সংগঠন পাহাড় রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশ আজ বিপর্যস্ত। সরকার পাহাড় কাটার উপরে শাস্তির বিধান রেখেছে। কিন্তু সেই আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ না হওয়ায় পাহাড় খেকোরা ইচ্ছে মতো পাহাড় কেটে যাচ্ছে’। জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড় কাটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা এর আগে পাহার কাটাার দায়ে ্শ্রীমঙ্গলের অনেকজনকে জরিমানা করেছি। কোনভাবেই পাহাড় কাটা যাবে না। এই বিষয়টি আমরা দ্রুত দেখছি’।