কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রজননে সাফল্য, পশু-পাখির ঘরে নতুন অতিথি

দৈনিক আজাদী চকরিয়া প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২০, ০৬:৪৮

.tdi_2_15d.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_15d.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে মানুষের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে প্রায় পাঁচ মাস। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পার্কটি বন্ধ থাকলেও সফলতা এসেছে বিভিন্ন পশু-পাখি ও বন্যপ্রাণীর প্রজননে। বিরল প্রজাতির প্রাণির ঘরেও এসেছে নতুন অতিথি। পার্কের দায়িত্বশীলরা বলছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় যদি বছরের ৬ মাস একনাগাড়ে বন্ধ রাখা যায়, তাহলে এসব প্রাণীর প্রজননের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে এই সাফারি পার্ক। পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, পার্কের অভ্যন্তরে বন্যপ্রাণীর বেষ্টনীর কাছে মানুষের বিচরণ না থাকায় থাকা বিভিন্ন বন্যপ্রাণী ও পশু-পাখির ঘর আলোকিত করে এসেছে নতুন অতিথি। এর মধ্যে বন্ধকালীন বাচ্চা প্রসব করেছে বিরল প্রজাতির আফ্রিকান ওয়াইল্ডবিস্ট, চিত্রা হরিণ, প্যারা হরিণ, মায়া হরিণ, বানর, বিলুপ্তপ্রায় কালিম পাখি, সাধারণ প্রজাতির ময়ূরসহ নানা পশু-পাখি। কর্র্তৃপক্ষ আরো জানায়, এই ধারা অব্যাহত থাকলে কয়েক মাসের মধ্যে বাঘের প্রজননও বৃদ্ধি পাবে। যার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বাঘ ও সিংহ বেষ্টনীতে। সরেজমিনে পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় পাঁচ মাস ধরে পর্যটক-দর্শনার্থীর প্রবেশ না থাকায় পার্কের অভ্যন্তরে বিরাজ করছে সুনশান নীরবতা। উন্মুক্ত থাকাকালীন পার্কের ভেতর ময়লা-আবর্জনার দেখা মিলত। বর্তমানে তা নেই। শুধুমাত্র হরেক রকমের পশু-পাখি ও বন্যপ্রাণীর চিৎকার-চেঁচামেচিতে মুখর রয়েছে পার্কটি। মানুষের বিচরণ না থাকায় নতুন করে গজিয়ে উঠেছে বিভিন্ন রকমের গাছ-গাছালি ও লতাগুল্ম। এসব কারণে পশু-পাখি ও বন্যপ্রাণির জন্য বর্তমানে নিরাপদ আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে পার্কটি। দিদারুল আলম, মোরশেদসহ পার্কের একাধিক কর্মচারী আজাদীকে বলেন, অনেকটাই পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠেছে সাফারি পার্কের পরিবেশ। সুনশান পরিবেশে সময় কাটাচ্ছে বিভিন্ন পশু-পাখি ও তৃণভোজী বন্যপ্রাণী। লেকের পানিতে খেলা করছে সাদা বক, বেষ্টনীর পানিতে সাঁতরাচ্ছে জলহস্তি। মানুষের শব্দ শুনলেই এখানে-ওখানে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির হরিণের দল মুহূর্তের ঢুকে পড়ছে জঙ্গলের ভেতর। আর বানরের দল পার্ক জুড়ে করছে রাজত্ব। আফ্রিকান জেব্রার দল বিশাল বেষ্টনীতে সদলবলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। খাঁচার ভেতর সময় কাটছে বাঘ ও সিংহের। বাঘ এবং সিংহ বর্তমানে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে। এতে প্রজননের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী আজাদীকে বলেন, এই পার্কটির অবস্থান প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট বন-জঙ্গলের পরিবেশে। এটি শিক্ষা, গবেষণা, চিত্ত বিনোদনের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশ তথা ভারতের কানহা ন্যাশনাল পার্কের মতো যদি বছরের ৬ মাস এই পার্কটিও বন্ধ রাখা যায় তাহলে এখানে বিলুপ্ত বন্যপ্রাণী ও পশু-পাখির প্রজননে বিরাট সফলতা আসবে। ইতোমধ্যে বন্ধ থাকা পাঁচ মাসে অনেক প্রাণী ও পশু-পাখির ঘর আলোকিত করে এসেছে নতুন অতিথি। ৬ মাস বন্ধ রাখার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, পার্কটি মূলত প্রতিষ্ঠা হয়েছে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য। এরপর চিত্ত বিনোদনের বিষয়টি রাখা হয়েছে। পুরো বছর যদি সাফারি পার্কে মানুষের বিচরণ থাকে, তাহলে প্রজননের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধতা কাজ করে। তাই বিলুপ্ত প্রাণীর প্রজনন বাড়ানোর জন্য এর বিকল্প নেই। সেই হিসেবে চলতি বছর আরো এক মাস যদি এই পার্ক বন্ধ রাখা হয় তাহলে বিলুপ্ত প্রাণীর প্রজননে সফলতা আসবে। করোনাকালীন দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন সকল পর্যটন স্পট আজ সোমবার থেকে খুলে দেওয়ার ঘোষণা এসেছে। সেই ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কখন খুলছে জানতে চাইলে পার্কের প্রকল্প পরিচালক এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাছের মো. ইয়াছিন নেওয়াজ আজাদীকে বলেন, সাফারি পার্কটি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এই পার্ক কখন দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে সেই নির্দেশনা এখনো আসেনি। হয়তো আরো এক মাস বন্ধ থাকবে এই পার্ক। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে মন্ত্রণালয়।.tdi_3_61f.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_61f.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও