শিল্প খাতের চাহিদা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম বদলাতে হবে: শিক্ষা উপমন্ত্রী
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মনে করেন, দেশের শিল্প খাতের চাহিদা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। শনিবার (৪ জুলাই) ‘রেজিলিয়েন্স রিকভারি অব ন্যাশনাল ইকোনমি থ্রু সায়েন্স টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন ডিউরিং পোস্ট কোভিড-১৯ এরা’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ স্টিম (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স) সোসাইটি এর আয়োজন করে।মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘আমাদের উদ্যোক্তারা অনেক ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি না পাওয়ার আক্ষেপ দেখান। তাই বিদেশ থেকে দক্ষ লোকবল নিয়ে আসতে হচ্ছে। আবার চাকরিপ্রত্যাশীরা অনেক সময় চাকরি না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। দুই পক্ষের মধ্যে যে ব্যবধান তা পূরণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্প খাতের চাহিদা অনুযায়ী জনশক্তি তৈরি করতে হবে।
এজন্য শিল্পের সঙ্গে শিক্ষাক্রমের সংযোগ খুবই জরুরি।’উন্নত বিশ্বে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীদের একই ধারায় পড়াশোনা করতে হয়। এরপর তারা নিজেদের পছন্দের বিষয় নিয়ে অধ্যয়ন চালিয়ে যায়। উদাহরণটি টেনে উপমন্ত্রী অভিমত দেন,‘বিজ্ঞান শিক্ষাকে শুধু মেধাবীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। সব শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে এসএসসি পর্যন্ত বাধ্যতামূলকভাবে বিজ্ঞান শিক্ষা নিতে হবে।
সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক পর্যায়ে সায়েন্স, আর্টস, কমার্স নামে কোনও বিভাজন থাকবে না।’কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে বয়সের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এ তথ্য জানিয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অসংখ্য গ্রাজুয়েটস তৈরি করছে যাদের কোনও কারিগরি দক্ষতা নেই। এ কারণে তাদের অনেকের কর্মসংস্থান হয় না।
আমাদের বিপুলসংখ্যক জনশক্তি শ্রমবাজারের বাইরে থেকে যায়। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভিশন-২০৪১ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়।
পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যাবে না। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার গ্রাজুয়েটসদের রি-স্কিল করার চিন্তাভাবনা করছে।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.