ভার্চুয়াল আদালতে ৩৫ কার্যদিবসে ৬০৮ শিশুকে জামিন
মহামারি করোনাকালে ভার্চুয়াল আদালতে ৩৫ কার্যদিবসে ৬০৮ শিশুকে জামিন দিয়েছেন আদালত। জামিন পাওয়া শিশুদের মধ্যে ৫৮৩ জনকে তাদের অভিভাবকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিভাবকদের কাছে বুঝিয়ে দিতে সহায়তা করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর ও ইউনিসেফ।
আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান জানান, ২ জুলাই মোট ৩৫ কার্যদিবসে ভার্চুয়াল শুনানিতে মোট জামিনপ্রাপ্ত শিশুর সংখ্যা ৬০৮। এ পর্যন্ত সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহায়তায় অভিভাবকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫৮৩ শিশুকে।
গত ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানির জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পরের দিন ১০ মে উচ্চ আদালতের সব বিচারপতিকে নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ফুলকোর্ট সভা করেন প্রধান বিচারপতি।
ওই দিনই নিম্ন আদালতের ভার্চুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এর পর থেকে নিম্ন আদালতে ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন শুনানি শুরু হয়। ১১ মে প্রথমবারের মতো কুমিল্লার আদালতে এক আসামির জামিন হয়।
করোনাকালে ২৬ মার্চের পর দফায় দফায় সাধারণ ছুটিরও মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মে মাসের পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল বিচারকাজ অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে যেসব শিশুকে আটক করা হয়, তাদের কারাগারে না রেখে দেশের তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখা হয়। যাতে তারা কারাগারে বড়দের সঙ্গে মিশে নতুন নতুন অপরাধে জড়িত হয়ে না পড়ে, পেশাদার অপরাধী হয়ে না ওঠে সে জন্যই শিশুদের উপযোগী করে গড়ে তোলা শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখা হয়। বিভিন্ন অপরাধের মামলায় আটক এসব শিশুকে সংশোধনের জন্য গাজীপুরের টঙ্গী ও কোনাবাড়ী এবং যশোরের পুলেরহাট এলাকায় পৃথক তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে মেয়েশিশুদের রাখা হয়। বাকি দুটিতে রাখা হয় ছেলেশিশুদের।