জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় রেখে রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসাবে না ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএনসিসির নগর ভবনে গণমাধ্যমের উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কাছে বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে ফোন আসছে যে, আমরা যদি ঢাকার পশুর হাট বন্ধ করে দেই, তবে তাদের কী হবে! এটিই কিন্তু এখন বাস্তবতা। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কিন্তু একটি বছর অপেক্ষা করে থাকে এই কোরবানি পশুর হাটের জন্য। তাদের অনেকেই পশু পালন করে বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করে।
একইসঙ্গে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে পশু কোরবানি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেন। আবার এটিও সত্য যে, আমাদের শহরে ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে যদি পশুর হাট বসে সেটি কিন্তু জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য কিছু কিছু সিদ্ধান্ত আমি পরিবর্তন করতে বলেছি।’
মেয়র আরো বলেন, হাট ইজারা দিয়ে হয়তো কোটি টাকা আয় করা যাবে। কিন্তু টাকার চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাই আমি ঢাকার বাইরে তুলনামূলক কম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হাট বসানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছি, যাতে ব্যবসায়ীরা পশু বিক্রিও করতে পারে আবার জনস্বাস্থ্যও বিবেচনায় রাখা যায়।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের তেজগাঁও, আফতাবনগর, ভাষানটেক এলাকায় বড় হাট বসে প্রতিবার। সেখান থেকে আমাদের অনেক টাকা আয়ও হতো। কিন্তু এ বছর করোনা বিবেচনায় আমরা এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই স্থানে হাট বসতে দেব না।’
অন্যান্য এলাকার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, উত্তরা ১০, ১১ ও ১২ এই তিনটি সেক্টরে বড় হাট বসত। গত বছর এই হাটে ইজারা মূল্য পাওয়া গিয়েছিল চার কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কিন্তু এ বছর এখানে হাট বসতে দেওয়া হবে না। উত্তরাবাসীর জন্য উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন এলাকায় বড় হাট বসবে। তারা সেখান থেকে পশু কিনতে পারবেন এবং ওই এলাকায় মানুষের বসবাসও কম।
এ ছাড়া মোহাম্মদপুরের বাসিন্দাদের জন্য বসিলায় একটা হাট দেওয়া হবে। এ ছাড়া হাট থাকবে পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মাস্তুল ডুমনী ও ১০০ ফুট সড়কের সাইদ নগর এলাকার কাওলায়। গাবতলীতে আমাদের স্থায়ী পশুর হাট আছে, সেটি থাকবে।
তবে ঢাকা উত্তরের সব হাটেই কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে উল্লেখ করে মেয়র শারীরিকভাবে দুর্বল, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক মানুষ এবং শিশুদের পশুর হাটে না আসার অনুরোধ জানান।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ইজারদারদের বলা থাকবে যাতে পশুর হাটে ন্যূনতম পাঁচ ফুট দূরে দূরে গরু রাখার ব্যবস্থা করে। হাটে পর্যাপ্ত বেসিন এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে একটু পর পর মাইকিং থাকতে হবে। সব হাটে ম্যজিস্ট্রেটের টহল থাকবে। ইজারাদারদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে, অন্যথায় ইজারা বাতিল করা হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.