কাজ নেই তার রাস্তায় সবজি বিক্রি করছেন আমিরের সহ-অভিনেতা
মহামারি করোনাভাইরাস জীবনকে করে দিয়েছে এলোমেলো। অনেককেই রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। মুছে দিয়েছে পরিচয়। এমনই অভিনেতা জাভেদ হায়দার। এক সময় ছিলেন আমির খানের সহ-অভিনেতা। আমির–রানির সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন সুপারহিট ‘গুলাম’ ছবিতে। আজ তিনি ‘সবজিওয়ালা’।\
রিললাইফে নয়, বাস্তবেই কাজ হারিয়ে জাভেদ এখন মুম্বইয়ের রাস্তায় ফিরি করে বেড়ান টমেটো, ফুলকপি, পটল, বেগুন। সাদামাটা শার্ট, একগাল হাসি নিয়েই ক্রেতাকে এগিয়ে দেন বাজারের থলে। সব্জিবোঝাই ঠেলাগাড়ি ঠেলতে ঠেলতে ঘুরে বেড়ান অলিগলি।অভিনয় তাঁর রক্তে। তাই সব্জি বেচতে বেঁচতেই টিকটকে আপলোড করতে থাকেন একের পর এক বিকিকিনির ভিডিও। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে, ‘দুনিয়া মে রহনা হ্যায় তো কাম করো প্যায়ারে’। শুধু ‘গুলাম’ ছবিতেই নয়, হিন্দি ছবি ‘বাবর’, টিভি সিরিজ ‘জিনি অউর জুজু’-তেও অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই করোনা, লকডাউন সব হিসেব যেন গুলিয়ে দিয়েছে। তিন মাস বন্ধ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।
টেকনিশিয়ানদের মাথায় হাত, জুনিয়র আর্টিস্টরা চোখের জল ফেলছেন। এ অবস্থাতেই পেটের টানে জাভেদ তাই বেছে নিয়েছেন সম্পূর্ণ অন্য এক পেশা। যে পেশায় গ্ল্যামারের চাকচিক্য নেই, রোল-ক্যামেরা-অ্যাকশন নেই, আছে শুধু পেট ভরানোর তাগিদ। অভিনয় জগৎ তাকে বিদায় জানালেও তিনি পারেননি। তাই জাভেদের টিকটক প্রোফাইল খুললেই দেখা যাবে একগুচ্ছ ভিডিও। সেখানে কখনও ফুলকপিকেই নিজের নায়িকা ভেবে গান গাইছেন, আবার কখনও বা হাতে পালংশাক নিয়ে পোজ দিচ্ছেন তিনি। টিকটকে তার অনুরাগীর সংখ্যাও দশ হাজার ছাড়িয়েছে। জাভেদের এই নতুন পেশার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম জানান অভিনেত্রী ডলি বিন্দ্রা। ডলি লেখেন, “এই মহামারিতে কোনো কাজ নেই। জাভেদ আদপে এক জন অভিনেতা। কিন্তু আজ সে সবজি বিক্রি করছে।” ডলির ওই পোস্ট ভাইরাল হতেই নেটাগরিকরাক জাভেদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তার চেষ্টা, পরিশ্রমকে তারিফ করে তাদের বক্তব্য, “সাবাস জাভেদ, দেখিয়ে দিলে এ ভাবেও যুদ্ধ করা যায়।” জাভেদের মতো কাজ হারিয়ে এর আগেও দিল্লির রাস্তায় ফল বিক্রি করতে দেখা গিয়েছিল আর এক অভিনেতা সোলাঙ্কি দিবাকরকে। ‘
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.