‘সংশোধন’ হতে থানার ওসি এক মাসের সময় বেধে দিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এর মধ্যে ঠিক না হলে কিভাবে বিদায় করতে হয় সেই পথও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জানেন বলে ‘হুংকার’ দেন।
ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের। সোমবার সকালে উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ওসি নাজমুল হোসেনেকে এক মাসের আল্টিমেটাম দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিক উদ্দিন ঠাকুর। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ এস এম মোসার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ওসি উপস্থিত না থাকলেও পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুর রহমান ছিলেন।
সরাইল থানায় ওসি যোগদানের তিন মাসেও আইন শৃঙ্খলা সভায় আসেননি বলে অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান। এ ছাড়া মাদক, জুয়া নির্মূল করতে না পারা, পাল্টাপাল্টি মামলা নেওয়ার মতো বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন চেয়ারম্যান।
ওসি কালের কণ্ঠকে জানান, চেয়ারম্যানের এমন অভিযোগের কথা তিনি শোনেননি। সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গেও তার কথা হয়নি। চেয়ারম্যান কেন এ ধরণের অভিযোগ করছেন সেটাও তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি জানান, সোমবারও জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিয়মিতই মাদকের মামলা হচ্ছে।
ওই সভাতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, ওসি দালাল, জুয়াড়ি ও মাদকাসক্তদের সঙ্গে থানায় বসে আড্ডা দেন। তিন মাসেও তিনি উপজেলার কোনো সভায় যোগদান করেননি। ওসি সাহেব মনে হয় চাঁদের দেশ থেকে এসেছেন। সরাইলের মানুষের চাঁদের দেশের কর্মকর্তার দরকার নেই।
সভায় বক্তব্য রাখা উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাজিব আহমেদ রাজ্জি, শাহজাদাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকনও তাদের বক্তব্যে ওসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.