কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এগিয়ে আনবে করোনা?

প্রথম আলো মো. সিরাজুল ইসলাম প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২০, ১৪:৪৪

লকডাউনের মধ্যে নেটফ্লিক্সে দ্য ইমিটেশন গেম ছবিটি দেখলাম। অ্যালেন টিউরিং নামের একজন গণিতবিদ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানদের আক্রমণকৌশলের নির্দেশনাসংবলিত একটি কোড ল্যাঙ্গুয়েজ ‘অ্যানিগমা’ ডিকোড করতে গিয়ে একটি মেশিন আবিষ্কার করেন। আধুনিক যে কম্পিউটার, সেই মেশিনের ওপর ভিত্তি করেই তা গড়ে উঠেছে। বর্তমানে যে ‘মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ’, ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বা ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র কথা বলা হচ্ছে, তারও স্বপ্নদ্রষ্টা এই অ্যালেন টিউরিং। সে সময়ের লোকজন অবশ্য তাঁর এই ধারণাগুলোকে মোটেই পাত্তা দেননি।

বলা হয়ে থাকে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই ‘অ্যানিগমা’ ডিকোড করার মাধ্যমে তিনি যুদ্ধকে প্রায় দুই বছর কমিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন। ব্রিটিশ বাহিনী তখন এই গোপন সংকেত ডিকোড করার জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছিল। ‘প্রয়োজন সব আবিষ্কারের জননী’—এর এক যথার্থ দৃষ্টান্ত এটি।যুদ্ধ না হলেও আমরা এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। মানুষ মরছে এক অদৃশ্য শত্রুর আঘাতে। আপাতত বাঁচার উপায় ঘরে বসে থাকা। কিন্তু ঘরে বসে তো আর দুনিয়া চলে না। বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন। কিন্তু কবে তার ফল মিলবে, তা বলা কঠিন। এমন একটি পরিস্থিতিতে ঘরে বসে কীভাবে কাজ করা যাবে, তা নিয়ে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হচ্ছে।

বেশ কিছুদিন ধরে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের একটি ধারণা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমহলে ব্যাপক আলোচনায় আসছে। এই বিপ্লবের মূল উপাদান কম্পিউটার আর তথ্যপ্রযুক্তি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিকস, থ্রিডি প্রিন্টিং, ইন্টারনেট অব থিংস, ফাইভ-জি প্রযুক্তি ইত্যাদির মাধ্যমে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা। এর পাশাপাশি ন্যানো টেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা বিকল্প জ্বালানির মতো বিষয়গুলোও আলোচনায় আসছে।

এই নতুন প্রযুক্তিগুলোর কয়েকটি ব্যবহার করে আমাদের প্রচলিত অফিসের ধারণা ও সংস্কৃতিতে কিছু পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল। করোনা মহামারি শুরুর আগ থেকেই হোম অফিস বা বাড়িতে বসে কাজ করা বা এ ধরনের কিছু ধারণা জনপ্রিয় হতে শুরু করেছিল। ‘গুগল’ অফিসের ধারণাটিও জনপ্রিয়। ঢাকার গ্রামীণফোন অফিসটি এই আদলে করা। সেখানে ঢুকলে দেখবেন, বড় কর্মকর্তাদেরও কোনো নির্দিষ্ট অফিস নেই। অফিস নিজের ল্যাপটপে আর সকালে গিয়ে আপনি যে টেবিলে বসবেন, সেটাই অফিস। নিজের জন্য একটা লকার থাকতে পারে বড়জোর। অনেকগুলো মিটিং রুম আছে, যেখানে পূর্বনির্ধারিত একটি সময়ে একেকটি বিভাগের সদস্যরা সারা দিনের কাজের সমন্বয়সাধন, তথা দেখা–সাক্ষাতের জন্য আলোচনায় বসেন। এ ছাড়া বাকি যোগাযোগ অধিকাংশ সময় অনলাইনেই হয়ে থাকে বা ই-মেইলে।

‘হোম অফিস’-এর ধারণাটি জনপ্রিয় ও কার্যকর বিবেচিত হওয়ায় কিছু বড় বড় কোম্পানি তাদের ভাড়া করা বড় অফিস ছেড়ে দিয়ে অফিস ছোট করে ফেলে এবং অধিকাংশ কর্মচারীকে বাড়িতে বসে কাজ করার অনুমতি দেওয়া শুরু করে। এতে অফিস ভাড়া সাশ্রয় হলো, একই সঙ্গে বাঁচল অফিসে আসা-যাওয়ার সময়। এতে ট্রাফিক জ্যামের ওপরও চাপ কমবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও