ওয়েব সিরিজ, যৌনদৃশ্যই একমাত্র উপায় নয়
অপরাধের গল্প। কলকাতা শহরের প্রেক্ষাপটে তৈরি সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসির বর্ণময় জগত। তাকেই ওয়েব সিরিজে সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন পরিচালক অরুণাভ খাসনবিশ।ফ্যান্টাসি পূরণের টান মানুষকে কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে নিয়ে যেতে পারে সেই কথাই বলবে ‘সিন’। একঝাঁক অভিনেতাদের নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ইনভেস্টিগেটিভ থ্রিলার।
কলকাতার মতো মেট্রোপলিটন শহরে এক ধরনের নেটওয়ার্ক রয়েছে যারা মানুষের বিভিন্ন যৌন ফ্যান্টাসির পরিষেবা দেয়। গল্পের দুই প্রোটাগনিস্ট এমনই একটি নেটওয়ার্কের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে নিছক কৌতূহলে। এর পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যৌনতা এ সিরিজে আসবে গল্পের প্রয়োজনেই। বলা হচ্ছে প্রথম বার ‘ফুল ন্যুডিটি’কে ওয়েব সিরিজে নিয়ে এসেছেন পরিচালক। গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ‘সিন’। এবার কথা হচ্ছে ন্যুডিটি দর্শক ওয়েব সিরিজে দেখেননি এমনটা তো নয়।সুতরাং ট্যাবুর বাইরে বেরোচ্ছে বাংলা কনটেন্ট!
গল্পের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র শ্বেতা মিশ্রর কথায়, ”এটা বাংলা ওয়েব সিরিজ নয়, বাংলার প্রথম হিন্দি ওয়েব সিরিজ যার প্রেক্ষাপট কলকাতা। এই যে আইডিয়াটা তৈরি হচ্ছে, বাংলার প্রথম ন্যুডিটি সেটা ভুল, তাছাড়া যৌনতা এখানে সেকেন্ডারি। সিরিজটা দেখার পর কেউ আশা করি বলতে পারবে না অবজেকটিফাই করার জন্য যৌনতা আনা হয়েছে।” শ্বেতা আরও বলেন, ”খুব ভালভাবে দৃশ্যগুলো শুট করা হয়েছে। পরিচালকের টিম এবং পুরো সিরিজের টিম সাহায্য করেছে। পরিস্কার করে ন্যুডিটি ক্লজে বলে দেওয়া হয়েছিল, কার কতটা দৃশ্য রয়েছে।
সুতরাং, অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। সব জায়গায় এটা হয় না। আগে ওয়ার্কশপ হয়েছে। যে কোনও ঘনিষ্ঠ দৃশ্য দেখতে যেমন লাগে শুট করাটা সম্পূর্ণ আলাদা, পুরোপুরি টেকনিক্যাল। চরিত্র অনুযায়ী যা প্রয়োজন সবটাই আমি করেছি।” ‘সিন’-এ যৌনদৃশ্য অকারণ ব্যবহার করা হয়নি একথা আগেও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানিয়েছেন পরিচালক। তিনি বলেছিলেন, ”নগ্ন মানেই তা কুৎসিত নয়। দর্শক এই সিরিজটা দেখলে বুঝবেন, অভিনেতা-অভিনেত্রীর শরীরকে এখানে এমন কোনওভাবে ব্যবহার করা হয়নি যা অপ্রাসঙ্গিক। আর নগ্নতা এই সিরিজের বিষয় নয়।