একাত্তরের দলের ৭১ বছর

চ্যানেল আই অজয় দাশগুপ্ত প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২০, ১৪:২৫

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দলটি ২০২০ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠার ৭১ বছর পালন করছে।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে পূর্ব বাংলার বঞ্চনা এবং বিশেষ করে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উপেক্ষার পটভূমিতে দলটির জন্ম। ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের অবসানের পর ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট করাচি-লাহোরকে কেন্দ্র করে যে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয়, তার শাসকরা পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানকে (বর্তমান বাংলাদেশ ভূখণ্ড) উপনিবেশ হিসেবেই গণ্য করতে শুরু করে। তারা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াতে থাকে এবং এটাকেই মুশকিল আছানের দাওয়াই হিসেবে গণ্য করতে থাকে। কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার চার মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯৪৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর কেবল উর্দুতে ডাকটিকিট প্রকাশ ও সরকারি চাকরিতে আবেদন করার যোগ্যতা হিসেবে উর্দু জানা বাধ্যতামূলক করার অপচেষ্টা শুরু হলে পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি কর্মচারীরা ধর্মঘট করে বসবে, এটা তারা ভাবতে পারেনি। এ ঘটনার তিন সপ্তাহ যেতে না যেতেই কলিকাতাকেন্দ্রিক রাজনীতির পাঠ ঘুচিয়ে অচেনা শহর ঢাকায় চলে আসা তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। আমরা জানি, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের। কিন্তু বিস্ময়কর দূরদৃষ্টি যে ছিল তাঁর! পাকিস্তান হতে না হতেই তিনি বুঝে যান বাঙালিদের দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। এটা মোকাবেলায় চাই বলিষ্ঠ সংগঠন। ছাত্ররা এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি ক্ষমতাসীন দল মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠন থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে বের হয়ে এসে গঠন করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। সাম্প্রদায়িকতা তাঁর পছন্দ ছিল না। কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উগ্র সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে। তাই ‘আপস’ করেছেন। অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থে লিখেছেন, ‘অলি আহাদ এর (মুসলিম ছাত্রলীগের) সভ্য হতে আপত্তি করল। কারণ সে আর সাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান করবে না। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ নাম দিলে সে থাকতে রাজী আছে। আমরা তাকে বোঝাতে চেষ্টা করলাম এবং বললাম, এখনও সময় আসে নাই। রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দেশের আবহাওয়া চিন্তা করতে হবে। নামে কিছুই আসে যায় না। আদর্শ যদি ঠিক থাকে, তবে নাম পরিবর্তন হতে বেশি সময় লাগবে না।’

বিচিত্র, আঁকাবাকা! অলি আহাদ ১৯৭১ সালে অসাম্প্রদায়িক আদর্শের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ পছন্দ করেননি। যে ভাষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন সামনের সারিতে, মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের সম্মান প্রদর্শনের জন্য নিয়ে আসতে রাজী হয়নি। কারণ অমর একুশের স্মৃতিতে গড়ে ওঠা এ স্থানটি তাদের বিবেচনায় অনৈসলামিক!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও