প্রতি জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্ব বাবা দিবস। সঙ্গে আগে থেকেই চূড়ান্ত, ২১ জুন বিশ্ব সংগীত দিবস। দুটো বিশেষ দিবস এক হলো এবার। ফলে বাংলা ট্রিবিউন বিনোদন বিভাগ চিন্তা করেছে একইরূপ। খুঁজে নিয়েছে তারকা বাবার এমন সন্তান, যিনি ক্যারিয়ার গড়ছেন সংগীতে।তেমনই একজন এই প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী প্রত্যয় খান। সংগীত পরিচালক ও নির্মাতা রিপন খানের যোগ্য উত্তরসূরি তিনি। কথা বলেছেন নির্দিষ্ট ছয়টি প্রসঙ্গে।এক.বাবার কম্পিউটার নিয়ে মজার একটা ঘটনা বলি। মিউজিকের সঙ্গে আমার যোগসূত্রটা খুবই গোপনে হয়েছিল।
আমি যখন গান শুরু করি, আমার পরিবারের কেউই জানতেন না। দেখা যেত, পড়াশোনার ফাঁকে বা ক্লাস যেদিন থাকতো না, আমি বাবার স্টুডিওতে গিয়ে বসতাম। লুকিয়ে লুকিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতাম। দু’-একটা গানও তৈরি করেছি। একেবারে ছোটবেলার কথা বলছি। যখন আমার বয়স ১১। ভাবতাম নিজেই গান তৈরি করবো নিজেই শুনবো।দুই বছর পর বাবা বিষয়টা আঁচ করতে পারেন। কতদিনই বা লুকিয়ে রাখা যায় বলুন! কিছু গান বাবা তার কম্পিউটারের রিসেন্ট ফোল্ডারে পেয়ে যান।
বাবা বা ভাইয়া (হৃদয় খান) কেউই জানতেন না গানের বিষয়ে। জানার পর তারা নানাভাবে আমাকে পরখ করতেন। তারা সাজেশন দিতেন। তারা অভয় দিলেন। বললেন, কাজ কর, রিলিজ করার ব্যবস্থা করা যাবে।তাই আমার গান শেখার পেছনে বাবার কম্পিউটারের প্রচ্ছন্ন অবদানও আছে!দুই.২০০৯ সালে আমি মিশ্র অ্যালবামে গান শুরু করি। গানের কাজ অনেকদূর এগোয়। কিন্তু হঠাৎ একদিন হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করে। খুব ডিপ্রেসড হয়ে গেলাম। বাবাও ভাবছিলেন, আমি মিউজিকের প্রতি বেশি ঝুঁকে যাচ্ছি। চাইছিলেন পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হই।
কিন্তু গান থেকে দূরে সরে যাওয়াতে আমি যেন আরও অসুস্থ হয়ে গেলাম। এরপর বাবাই সিদ্ধান্ত দিলেন। বললেন, ‘ঠিক আছে তুমি নতুন করে শুরু করো। যে অ্যালবামটি হারিয়ে গেছে, সে রিক্রিয়েট করো।’ গান নিয়ে বাবার সঙ্গে স্মৃতির শুরু এভাবেই। এরপর বাবা নিজে থেকেই বিভিন্ন মিউজিক শোনাতেন। মূলত এটা ছিল বাবার টেকনিক, যেন আমি আরও সমৃদ্ধ হই।তিন.বাবা বলতে মাথার ছায়া বুঝি। আমার কাছে লিডার মনে হয়। লিডার ও বাবা সমান।
কখন কোন স্টেপে কী করতে হবে, তিনি যেন সব বুঝে যেতেন। আমরা বাবাকে দেখে যে ভয় পাই, সেটা আতঙ্ক নয়; সম্মান।চার.ক্যারিয়ারে বাবার প্রভাব বলতে গেলে বলবো, অবশ্যই সেটা পজিটিভ ইন্সপিরেশন আমার জন্য। বাবা বা ভাই কিংবা পরিবার সবাই আমাকে সাপোর্ট দিয়েছেন। পরিবার অনেক বড় একটি বিষয়, এটা আমি বুঝতে পারি। অনেকের পুরো পরিবেশ থাকলেও কনফিডেন্স পান না। কিন্তু আমি সবকিছু আমার বাবার কাছ থেকে পেয়েছি। আমার ভাই বা পরিবারের কাছ থেকে পেয়েছি।
আমি নিজে থেকে মিউজিক শুরু করলেও বাবার পরিচয় আমাকে অবশ্যই সাপোর্ট দিয়েছে। এবং সেটা আমার শেখার জন্য ব্যবহার করেছি। পাঁচ.বাবাকে নিয়ে অনেক প্রশংসা শুনি। ম্যাজিকাল গল্প শুনেছি। তার কাছে কোনও প্রজেক্ট নিয়ে গেলে সেটা হতোই—এই কথাটা বেশি শুনেছি।ছয়.বাবা দিবসে সব বাবাকে শুভেচ্ছা। যারা চলে গেছেন তাদের জন্য দোয়া। বাবা হলেন সবসময়ের বেস্ট। সবার বাবাই সেরা।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.