কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বিল গেটস ও পিরব্রাইটকে নিয়ে ‌‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ যেভাবে ছড়ালো

গত কয়েক মাস ধরেই এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বটা নানা আকারে ইন্টারনেটে ঘুরছে। তত্ত্বের মূল কথা: বিশ্ব জুড়ে যে করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়েছে তার পরিকল্পনা করেছেন বিল গেটস – মার্কিন ধনকুবের এবং মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা। এটি একটি বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। এর প্রবক্তারা বলেন, বিল গেটস একটি অশুভ শক্তির নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তারাই সারা পৃথিবীতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দেবার পরিকল্পনাটি সাজিয়েছেন। মি. গেটসের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো কোভিড-১৯ এর একটি টিকার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ মুনাফা করা। কীভাবে ছড়িয়েছিল এসব তত্ত্ব? এই তত্ত্ব ছড়ানোর কাহিনিও বিচিত্র। মি. গেটস ২০১৫ সালে কানাডার ভ্যাংকুভারে এক সম্মেলনে দেয়া ভাষণে বলেছিলেন, “আগামী কয়েক দশকে যদি কোন কিছুতে এক কোটি লোকের মৃত্যু হয় - সেটা হয়তো হবে অত্যন্ত সংক্রামক একটা ভাইরাস, কোন যুদ্ধ নয়।" তখন এ ভাষণকে অনেকেই পাত্তা দেননি, কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির পর অন্তত ৬ কোটি ৪০ লক্ষ লোক সেই বক্তব্য শুনেছে। ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের কারো ধারণা মি. গেটস পৃথিবীকে জনশূন্য করতে চান, কেউ বলেন তিনি মানুষের শরীরে মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দিতে চান, কেউ বলেন তিনি টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করতে চান – এবং ভ্যাংকুভারের ওই ভাষণে ছিল তারই ইঙ্গিত। করোনাভাইরাসের সঙ্গে বিল গেটসকে জড়িয়ে যেসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হয়েছে, সেগুলোর কথা গত কয়েক মাসে টিভি, আর ফেসবুক বা টিকটকের মত প্ল্যাটফর্মগুলোয় অন্তত ১২ লক্ষ বার উল্লেখ করা হয়েছে। এই সমীক্ষাটি চালিয়েছিল নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং জিগনাল ল্যাবস। এরকম ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলো সেগুলো শেয়ার করা হয় লক্ষ লক্ষ বার। এখন আলোচনায় এসেছে পিরব্রাইট ইনস্টিটিউট সম্প্রতি হঠাৎ করেই পিরব্রাইট ইনস্টিটিউট নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে বিল গেটসের নাম জড়িয়ে এটিকে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিষয়ে পরিণত করা হয়েছে। ইংল্যান্ডের সারে কাউন্টিতে অবস্থিত পিরব্রাইট ইনস্টিটিউট হচ্ছে খামারে পালন করা হয় এমন প্রাণীদের দেহে যেসব ভাইরাস আক্রমণ করে - তা নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় এক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি গত কয়েক মাস ধরেই ঘৃণাসূচক চিঠি এবং টেলিফোনে হুমকি পাচ্ছে। “আমাদেরকে বলা হচ্ছে খুনি। একদিন একজন ফোন করে বলেছে, আমরা নাকি করোনাভাইরাস সৃষ্টি করেছি, এটাকে জীবাণু অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছি।" "সে পরে আবার ফোন করে আমাকে যৌন ইংগিতপূর্ণ গালাগালি করে। আমরা আগে কখনো এত হিংস্র কথা শুনিনি” - বলছিলেন ইনস্টিটিউটের টেরিজা মন। সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা প্রচার: কোভিড-১৯এর পেটেন্ট করেছে পিরব্রাইট ব্যাপারটা শুরু হয় জানুয়ারি মাসে। সামাজিক মাধ্যমে কিছু বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেয়া হয় – যাতে ২০১৮ সালে “করোনাভাইরাসের জন্য করা” এক পেটেন্টের সাথে পিরব্রাইট ইনস্টিটিউটকে সম্পর্কিত করা হয়। জর্ডন স্যাথার নামে একজন ইউটিউবার - যিনি আমেরিকায় ট্রাম্প-সমর্থক কিউএনন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করেন – তিনি কিছু টুইটে এসব অভিযোগ আনেন। অভিযোগ মূলত দুটি। একটি হলো: পিরব্রাইট প্রজেক্টের অর্থায়নের বড় অংশ দেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। আরেকটি হলো: পিরব্রাইট ইনস্টিটিউট করোনাভাইরাস সংক্রান্ত এক গবেষণার পেটেন্ট বা স্বত্ত্বের অধিকারী। অনেকেই জানেন যে করোনাভাইরাস একটি বড় প্রজাতি – যার মধ্যে অনেক ধরণের ভাইরাস অন্তর্ভুক্ত। এসব ভাইরাস মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে বিভিন্ন ধরণের রোগ সৃষ্টি করে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন