নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ালেন, দুই মাস ধরে মন্দিরে কাঁদছেন মা
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন গুজব ছড়িয়ে দুই মাস ধরে বৃদ্ধা মাকে ঘরে না রেখে পাশের একটি মন্দিরের বারান্দায় ফেলে গেছেন ছেলে জগদীশ সরকার ও পুত্রবধূ শিখা রানী।
সেখানে বৃদ্ধাকে ঠিকমতো খাবার দেয়া হতো না। একবেলা খাবার পাঠালে আরেকবেলা দেয়া হতো না খাবার। প্রতিদিনই কোনো না কোনো বেলা উপবাস থাকতে হয়েছে ৯৫ বছরের বৃদ্ধা জ্ঞানদা রানীকে। নিজে না খেয়ে একসময় যে ছেলের মুখে খাবার তুলে দিয়েছিলেন, আদর-যত্নে ছেলেকে বড় করেছেন সেই ছেলে এখন বৃদ্ধা মাকে ফেলে গেছেন। সেখানে বসে কাঁদছেন ওই বৃদ্ধা মা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জ্ঞানদা রানীকে একটি বয়স্কভাতার কার্ড করে দেয়া হয়েছিল। তবে ওই ভাতার টাকা তিন মাস পরপর উত্তোলন করে পুত্রবধূ শিখার কাছে জমা রাখতেন শাশুড়ি জ্ঞানদা। সেই টাকার বিনিময়েও বৃদ্ধা জ্ঞানদা রানীকে খাবার দেননি ছেলে ও পুত্রবধূ।
ছেলে ও পুত্রবধূর কাছে দু’মুঠো খাবার চেয়ে না পেয়ে নিজের নামের বয়স্কভাতার টাকা চেয়েছিলেন জ্ঞানদা রানী। পরিণামে ছেলে ও পুত্রবধূর নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাকে। সেই সঙ্গে মারধর করে তাকে গুরুতর আহত করা হয়েছে।