২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট বৃহস্পতিবার ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। জানা গেছে, এবারের বাজেটে আরোপ করা হচ্ছে না বিড়ি সিগারেটের ওপর বাড়তি কর। ফলে দেশের দামি সিগারেটগুলোর দাম খুচরা বাজারে প্রতি বছর ৫০ পয়সা থেকে এক টাকা করে যেভাবে বাড়ে, এবারও তাই বাড়বে।
বাজেট প্রণয়নে যুক্ত অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মিয়ানমারের পরেই বাংলাদেশে সবচেয়ে কম দামে সস্তা ব্রান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। বাংলাদেশে বিড়ি ও ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য আরো সস্তা। তবে রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এ খাতের। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিবছর এ পণ্যের দাম বাড়ানোর দাবি ওঠে বিভিন্ন পক্ষ থেকে। এ প্রস্তাবটিও বাজেট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর করার রেওয়াজ রয়েছে।
এদিকে দেশি শিল্পকে সুরক্ষা দিতে আমদানিকৃত প্যাকেটজাত তরল দুধ, গুঁড়ো দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বাড়তে পারে। তবে শিশুখাদ্য এর বাইরে থাকবে। পাশাপাশি বাড়তে পারে আমদানিকৃত বিলাসদ্রব্য যেমন: বডি স্প্রে, প্রসাধনী, জুস, প্যাকেটজাত খাদ্যের দাম। রিকন্ডিশন গাড়ি, আমদানিকৃত স্মার্টফোন, এসি, মোটরসাইকেল ও টায়ারের দামও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, এবার বাজেটে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর সুবিধা দেয়ার চাপ সামলানোর জন্য টেলিকম সেবার ওপর ৫ শতাংশ সম্পুরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএস ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে। বর্তমানে টেলিকম সেবার ওপর ১০ শতাংশ সম্পুরক শুল্ক রয়েছে। এছাড়া মোবাইল কলের ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১ শতাংশ সারচার্জ রয়েছে। সবমিলিয়ে অপারেটরদের ঘোষিত রেটে একশ’ টাকার কথা বললে কাটা হবে ১৩১ টাকা। আজ বুধবার পর্যন্ত কাটা হচ্ছে ১২৬ টাকা। তবে ইন্টারনেট সেবার ওপর বর্তমান ভ্যাট ৫ শতাংশ। সে হিসাবে একশ’ টাকার ডাটা ব্যবহার করলে মূলত কাটা হবে ১২১ টাকা। তবে অপারেটররা সাধারণত কর যুক্ত করেই ডাটা প্যাকেজ বিক্রি করে থাকে। সেক্ষেত্রে প্যাকেজের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে তারা।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.