জাতিসংঘে মানবিক সহায়তায় তহবিল বরাদ্দ চেয়েছে বাংলাদেশ

পূর্ব পশ্চিম প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২০, ১৮:১৩

করোনা মহামারিতে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় মানবিক সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়িত্ব ভাগ করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

‘মানবিক প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিষয়ক চ্যালেঞ্জসমূহের ক্রমবর্ধমান জটিলতা নিরসন’ শীর্ষক নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) এক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় মঙ্গলবার তিনি এ আহ্বান জানান।২০২০ সালের মানবিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত সেগমেন্টের আওতায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, মানবিক পরিস্থিতি মোকাবেলার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গৃহীত কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে দায়ভার ও দায়িত্ব ভাগ করে নেয়ার নীতি সন্নিবেশিত থাকতে হবে। আর এক্ষেত্রে নিয়মিত মানবিক সহায়তার বরাদ্দকৃত তহবিল থেকে কোনো কর্তন না করে অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা তহবিল বরাদ্দ দিয়ে বৈশ্বিক মহামারির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই জরুরি মানবিক প্রয়োজন মেটাতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে রাবাব ফাতিমা বলেন, মানবতা ও মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।

তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাসে -স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন।

রাবাব ফাতিমা বলেন, এসকল পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে খাদ্য, পুষ্টি, পানীয় জল ও স্যানিটেশনের মতো নিয়মিত মানবিক কর্মসূচিসমূহ বিঘ্নহীনভাবে অব্যাহত রাখা হয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বিশেষ এ সকল পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ফলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে এর সংক্রমণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে, যা দেশের মূল জনগোষ্ঠীর সংক্রমণের হারের চেয়ে কম। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা এবং এর পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ জাতীয়ভাবে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তাতে রোহিঙ্গাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের দূত আরও বলেন, মানবিক সহায়তা সমন্বয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যবধানগুলো অবশ্যই দূর করতে হবে, আর অবশ্যই শরণার্থী ও অভিবাসীসহ তাদের আশ্রয়দানকারী সম্প্রদায়ের সবাইকে টিকা গ্রহণ ও চিকিৎসায় অবাধ প্রবেশাধিকার দিতে হবে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর উপর কোনরকম বাড়তি বোঝা চাপানো যাবে না। মহামারি মোকাবিলার প্রস্তুতি, সাড়াদান ও পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত মানবিক কর্মসূচিসমূহে মানসিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত রাখার উপর জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

এ পরিস্থিতিতে লিঙ্গ ভিন্নতা বিশেষ করে নারীরা যেসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

পাশাপাশি তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও লাখ লাখ মানুষ জরুরি মানবিক পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে পারে, যেমন জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে মানুষ বিভিন্ন জীবানু সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হতে পারে, উল্লেখ করে অধিকতর কার্যকর জলবায়ু কর্ম-পরিকল্পনার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন

ইকোসকের সহ-সভাপতি মরক্কো উচ্চ পর্যায়ের এই সভায় সভাপতিত্ব করে। জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ ও মানবিক বিষয়াবলীর সমন্বয়কারী, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক আলোচনা পর্বটি মডারেট করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও