চীনকে ঠেকাতে একজোটে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৮ দেশ
চীনকে রুখতে যুক্তরাষ্ট্রসহ আট দেশের আইনপ্রণেতারা একটি জোট গঠন করেছেন। শুক্রবার বৈশ্বিক বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার ইস্যুতে চীনের উদীয়মান প্রভাব কমাতে এ জোট গঠিত হয়েছে। চীনের উদীয়মান প্রভাব কমাতে ইন্টার-পার্লামেন্টারি অ্যালায়েন্স অন চায়না নামের এ জোট গঠিত হয়েছে। এ জোটের সদস্য দেশ হল- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন ও নরওয়ে।
দ্য ইকোনমিক টাইমসের তথ্যানুযায়ী, মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও, ডেমোক্র্যাট সিনেটর বব মেনেনদেজ, জাপানের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাকাতানি, ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি সদস্য ম্রিয়াম লেক্সম্যান ও ব্রিটিশ কনজারভেটিভ এমপি লিয়ান ডানকান স্মিথ সবাই নতুন এ জোটের সহ-সভাপতি।
হংকংয়ের ওপর বেইজিংয়ের জাতীয় সুরক্ষা আইন আরোপের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে জোটটি। নেতারা বলেন, এ আইন হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের জন্য হুমকি। গোষ্ঠীটি বলেছে, তাদের উদ্দেশ্য হল ‘উপযুক্ত এবং সমন্বিত প্রতিক্রিয়া তৈরি করা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে একটি সক্রিয় এবং কৌশলগত পদ্ধতিতে মোকাবেলা করা।’
হংকংয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে চীনকে লক্ষ্য করে টুইটারে একটি ভিডিও বার্তায় রুবিও বলেছেন, ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শাসনে চীন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করে।’ তিনি বরাবরই বেইজিংয়ের সমালোচক। রুবিও আরও বলেন, আমাদের ভাগ করা মূল্যবোধের সাধারণ সুরক্ষা হিসেবে গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে একত্রিত হওয়ার সময় এসেছে।
এদিকে ভারত-চীনের মধ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়েছে। বিগত একমাস ধরে চলছে লাদাখ সীমান্তে দু’দেশের মধ্যকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি। শনিবার লাদাখ সীমান্তে পরপর ২ বার ভিন্ন ভিন্ন সময় দিয়েও শেষে দুপুর ২টার পর দু’দেশ আলোচনায় বসে। সকাল ৮টা থেকে যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা পরে ১১টা নাগাদ করার কথা স্থির হয়। পরবর্তীকালে তা দুপুর ২টায় গড়ায়। বৈঠক শেষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দল ফিরে আসছে লেহতে। সেখানে এসে তারা চীনের সঙ্গে হওয়া বৈঠকের বিষয়ে অবগত করবে সেনা প্রধান জেনারেল মুকুন্দ নারভানেকে। এরপর কী সিদ্ধান্ত নেয়া হল এবং কী আলোচনা হল তা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন হবে সেনার তরফে।