৭ জুনের সমাবেশে কী বলবেন বঙ্গবন্ধু তা নিয়ে চলে জল্পনা-কল্পনা
১৯৭২ সালের ৭ জুন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন, তা নিয়ে ক’দিন ধরে শহরে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা চলছিল। ৭ জুনের দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। খবরে বলা হয়, শহরে চলমান এই জল্পনা-কল্পনা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে করছিলেন। ব্যবসায়ী মহল বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছেন সবচেয়ে বেশি। তারা ভাবছেন, বঙ্গবন্ধু হয়তো তার ভাষণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হ্রাস করার পদক্ষেপ হিসেবে দ্রব্যমূল্য নির্দিষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশ দেবেন। তার ফলে তাদের অতিমুনাফা করার পথ হয়তো বন্ধ হবে। ফলে অসাধু ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক বিরাজ করছিল।
৭ জুনকে ঘিরে সব প্রস্তুতি ততক্ষণে শেষ হয়েছে। ছয় বছর আগে ১৯৬৬ সালের ৭ জুনের সঙ্গে এবারের ৭ জুনের পার্থক্য হলো— আজ থেকে ছয় বছর আগে মহান বিপ্লবের সেই দিনটি ঘুরে ফিরে এসেছে। শোষণের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত নির্যাতিত বাঙালি জাতি উচ্চকিত হয়ে স্বাতন্ত্র্য ও স্বাধীনতার বজ্রকণ্ঠের সংকল্পে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের সেই দিন ছিলেন স্বৈরাচারী আইয়ুবের কারাগারে বন্দি। কিন্তু আজ চিরভাস্বর দেশ বাংলার প্রাণ প্রিয় মানুষের মধ্যে অনন্ত কর্মের প্রেরণা হিসেবে উপস্থিত হবেন তিনি। যে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছেন, সেই মুক্ত দেশে তিনি জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছেন, উদ্যানের সমাবেশে তিনি নতুন কথা শোনাবেন।