অফিস-কারখানা ও পরিবহন আবার বন্ধ চান ৩৩৪ বিশিষ্ট নাগরিক
দেশে করোনার ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ায় অফিস-আদালত, কারখানা ও পরিবহন বন্ধ রাখাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নাগরিক সমাজের ৩৪৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এ দাবি করেন।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সায়েমা খাতুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আরশাদ মোমেন, রোবায়েত ফেরদৌস, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ রয়েছেন।
বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, 'কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগী গত ৮ মার্চ চিহ্নিত হওয়ার পর সংক্রমণরোধে যথাযথ লকডাউনের পরিবর্তে এখন পর্যন্ত ছয় দফায় রাষ্ট্রীয়ভাবে 'সাধারণ ছুটি' ঘোষণা করা হয়েছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পোশাক কারখানা খুলে দিলে রোগীর সংখ্যা দ্রুতই বাড়তে থাকে। এক মাসের মধ্যে রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। আবারো মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঈদ উপলক্ষে দোকান-পাট, কারখানা খোলা এবং অন্যান্য ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেও রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এখন পরিস্থিতি আরো বিপদজনক হয়ে উঠেছে। তাই এ রকম পরিস্থিতিতে মহামারি মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শ ছিল আরো বেশি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার। তাদের পরামর্শকে বিবেচনা না করে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সচল করার সিদ্ধান্ত খুবই আত্মঘাতী হবে বলে আমরা মনে করছি।'
বিবৃতিতে বলা হয়, বিরাজমান করোনা পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার কোনো রকম সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা কৌশল ছাড়া সাধারণ ছুটি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিসহ দীর্ঘমেয়াদে জীবন ও জীবিকার সংকটে শুধু দরিদ্র আর সাধারণ নাগরিকরাই পড়বেন না বরং সার্বিকভাবে সকলকেই মহাবিপদের দিকে ঠেলে দিবে। এতে দেখা যাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ শুরু হয়ে গেলেও অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবেও আমরা বিচ্ছিন্ন থাকবো। এতে এই করোনা পরবর্তী অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তিও হারাবে।